পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হলো শনিবার (৭ জুন)। ঈদের ছুটির আমেজ চলছে রাজধানীসহ সারাদেশে। ঢাকার অভ্যন্তরীণ রুটে গাড়ি চলাচলও কম। এর মাঝে ঈদের দিন বৃষ্টি হয়েছে। তারপরও ঈদের দ্বিতীয় দিন রোববার (৮ জুন) সকালে অস্বাস্থ্যকর বায়ু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
Advertisement
রোববার (৮ জুন) সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
আরও পড়ুন:
শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হলো পবিত্র ঈদুল আজহাদূষণ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এই শহরটির স্কোর ১৬৮ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চিলির সান্তিয়াগো এবং এর দূষণ স্কোর ১৬৩ অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে সেখানকার বাতাসও।
Advertisement
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। ঢাকার দূষণ স্কোর ১৫৩ অর্থাৎ এখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীবাসীর নিত্যসঙ্গী বায়ুদূষণ, উত্তরণ কোন পথে?স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
কেন এত দূষণবায়ুদূষণের প্রাকৃতিক কারণগুলোর মধ্যে আবহাওয়াজনিত ও ভৌগোলিক কারণ অন্যতম। পাশাপাশি মানবসৃষ্ট কারণগুলোর মধ্যে নগর পরিকল্পনায় ঘাটতি, আইনের দুর্বলতা, আইন প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা ও আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের অভাবকে অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন পরিবেশবিদরা।
Advertisement
আরও পড়ুন:
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানিপরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই) এবং বিশ্বব্যাংকের ২০২৩ সালের গবেষণা থেকে জানা যায়, ৫৮ শতাংশ পিএম ২.৫ (অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার উপাদান) আসে ইটভাটা থেকে, ১৮ শতাংশ আসে যানবাহন থেকে, ১০ শতাংশ আসে নির্মাণকাজের ধুলা থেকে এবং ১৪ শতাংশ আসে বর্জ্য পোড়ানো, জৈব জ্বালানি ও শিল্প থেকে। এই দূষণ সার্বক্ষণিক তৈরি হচ্ছে।
অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি এবং নির্মাণকাজ, ইটভাটা ও শিল্প-কারখানা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া, আন্তঃদেশীয় বায়ুদূষণ, গৃহস্থালি ও রান্নার চুলা থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং বর্জ্য পোড়ানোর কারণে বায়ুদূষণ হয় বেশি হয় বলছেন গবেষকরা।
এসএনআর/জেআইএম