এখনই বৃক্ষরোপণের উপযুক্ত সময়। তবে চারা গাছ রোপণ করে চুপচাপ বসে থাকলে চলবে না। তাহলে দেখা যাবে, চারা গাছ আর চারার মতো নেই। আগাছার মতো হয়ে আছে। তাই চারা গাছ লাগিয়ে ফলের আশা করার আগে সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। কেননা পরিচর্যার ফলে ২০-৪০ ভাগ ফল বেশি উৎপাদন সম্ভব।
Advertisement
১. চারা গাছ রোপণের সঙ্গে সঙ্গে শক্ত কাঠি দিয়ে সোজা করে বেঁধে দিতে হবে।২. গরু-ছাগলের নাগাল থেকে রক্ষার জন্য বাঁশের খাঁচা দিয়ে রক্ষা করতে হবে।৩. চারা গাছের গোড়ায় জন্মানো অবাঞ্চিত আগাছা দমন করতে হবে।৪. মাটির আর্দ্রতার জন্য শুকনো লতাপাতা, খড়কুটো, কচুরিপানা দিয়ে চারা গাছের গোড়ায় মালচিং করতে হবে।
আরও পড়ুনতুলসি গাছ কেন এত উপকারীউজাড় হচ্ছে বন, দিশেহারা প্রাণী৫. কোনো চারা গাছ দুর্বল, রোগাক্রান্ত বা মারা গেলে ওই জায়গায় একটি নতুন সবল চারা গাছ লাগাতে হবে।৬. চারা সোজা রাখা ও নির্দিষ্ট কাঠামো ঠিক রাখতে অবাঞ্চিত ডালপালা কেটে ফেলতে হবে।৭. বৃষ্টি না হলে রোপণের পর ঝরনা দিয়ে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।৮. দ্রুত বৃদ্ধিতে রোপণের একমাস পর গোড়ার এক ফুট দূর দিয়ে নালা করে ১০ গ্রাম হারে ইউরিয়া দিতে হবে।৯. ফল গাছে বর্ষার আগে ও পরে বয়স এবং জাতভেদে একবার পরিমাণমতো জৈব ও রাসায়নিক সার দিতে হবে।১০. প্রতি বছর ফল সংগ্রহের পর পুরোনো, রোগাক্রান্ত, মরা ডালপালা ছেটে দিতে হবে।১১. রোদ ও আলো-বাতাস চলাচল বাড়িয়ে দিতে পারলে পরের বছর নতুন ডালপালায় ফুল-ফল বেশি হবে।১২. রোগবালাই ও পোকামাকড় দমনে কৃষি বিভাগ, হর্টিকালচার সেন্টার বা বন বিভাগের পরামর্শ নিতে হবে।
এসইউ/জেআইএম
Advertisement