দেশজুড়ে

উচ্চস্বরে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

উচ্চস্বরে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সুন্নতি খাতনা অনুষ্ঠানে মধ্যরাত পর্যন্ত সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নাচগানকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৮ জুন) রাত সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের ইমরান মুন্সী কারারক্ষী হিসেবে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে চাকরি করেন।

তার ছেলের সুন্নতে খাতনার অনুষ্ঠান সোমবার (৯ জুন) দুপুরে। সেই উপলক্ষে একদিন আগে থেকেই গোপিনাথপুর ও ছোট হামিরদী মধ্যবর্তী স্থান প্রাইমারি স্কুল মাঠে শিল্পী ভাড়া করে নাচ-গানের আয়োজন করা হয়। এসময় ছোট হামিরদী গ্রামের কয়েকজন ছেলের সঙ্গে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

এর জের ধরে দুই গ্রামবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে টর্চ জ্বালিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রথমে গোপীনাথপুর গ্রামবাসী ছোট হামিরদী গ্রামের দুলাল শেখের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটতরাজ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

Advertisement

খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতভর চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে উভয় গ্রামের নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ২২ জন আহত হন।

গুরুতর আহত ছোট হামিদদী গ্রামের ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন মাতুব্বর, আজম, সোলেমান, আরিফ, বিকাশ, দুলাল শেখ ও দোলা বেগমকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হামিরদী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বর জানান, সুন্নতি খাতনা অনুষ্ঠানে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নাচ-গানকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন বলেন, গাজীপুর কাশেমপুর কারাগারের এক কারারক্ষীর ছেলের সুন্নতে খাতনা অনুষ্ঠানে শিল্পী এনে গান-বাজনার আয়োজন করা হয়। সেখানে ছোট ছোট ছেলেদের সঙ্গে হাতাহাতির একপর্যায়ে দুই গ্রামে সংঘর্ষ হয়। এতে ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন। দু-তিনটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Advertisement

এন কে বি নয়ন/জেডএইচ/জেআইএম