কক্সবাজার-টেকনাফ হাইওয়েতে আসামি ছিনিয়ে নিতে বিজিবির ওপর হামলা করেছেন স্থানীয়রা। এসময় বিজিবির গাড়িতে হামলা করলে উপ-অধিনায়কসহ ১০ সদস্য আহত হয়েছেন।
Advertisement
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ৯ জুন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উখিয়া ব্যাটালিয়নের খারাংখালী বিওপির সদস্যরা পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করলে প্রায় ৫০-৬০ জন জেলে ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের বাগবিতণ্ডা হয়। টহলদল আসামিকে বিওপিতে নিয়ে এলে চোরাকারবারিরা স্থানীয় জনগণকে জড়ো করে বিওপি ঘেরাও করে এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামির আত্মীয়-স্বজন, মানবপাচারকারী, চোরাকারবারি, জেলে এবং স্থানীয় লোকজন হ্নীলা ইউনিয়ন মৌলভীবাজার এলাকায় কক্সবাজার-টেকনাফ হাইওয়ে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও নৌকা দিয়ে রাস্তা ব্লক করে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে।
Advertisement
তিনি বলেন, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিওপির নিরাপত্তার স্বার্থে উখিয়া ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়কের নেতৃত্বে ২০ জন বিজিবি সদস্য গাড়িতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে ওই এলাকা অতিক্রম করে বিওপিকে সহায়তা দিতে যায়। এসময় উত্তেজিত জনতা বিজিবি সদস্যদের উপর দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, লাঠি ও ইট পাটকেল নিয়ে হামলা করে। বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর করে।
এ অবস্থায় সরকারি সম্পত্তি ও সাধারণ জনসাধারণের জান-মাল রক্ষার্থে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিজিবি সদস্যরা ফাঁকা ফায়ার করেন। হামলায় উখিয়া ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়কসহ ১০ জন বিজিবি সদস্য আহত হন।
আহত বিজিবি সদস্যদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়।
বিজিবি কর্মকর্তা বলেন, গত ২৮ মে হ্নীলা বিওপির টহলদলের বিশেষ অভিযানে মানবপাচারকারী ও মাদক চোরাকারবারি জাহাঙ্গীর আলম (৪০) সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আনুমানিক ৪০/৫০ জন সিভিল সদস্য বিজিবির টহল দলের অপারেশনাল কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বাধা প্রদান করে। জাহাঙ্গীর আলম তার নেতৃত্বে লোকজন জড়ো করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে বিজিবি টহলদলের ওপর অতর্কিত হামলা করে। পরবর্তী সময়ে বিজিবি কর্তৃক জাহাঙ্গীর আলম ও তার ১৫ জন অনুসারীসহ আরও ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
Advertisement
জাহাঙ্গীর আলম/এমএইচআর/জিকেএস