রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে মুরগির দাম। সেই সঙ্গে কিছু সবজির দাম কমলেও বেড়েছে টমেটো, গাজর, সজনে, পটোল ও ধনেপাতার দাম। দাম বেড়েছে পোলট্রি মুরগির ডিমের। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও তেল আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১০ জুন) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের মুরগির দাম ২০-৩০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ থেকে কমে ১৪০-১৫০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৫০-২৬০ থেকে কমে ২৪০-২৫০ টাকা, পাকিস্তানি (হাইব্রিড) ২৩০-২৪০ থেকে কমে ২১০-২২০ এবং দেশি মুরগি ৫৬০-৫৮০ টাকা থেকে কমে সর্বোচ্চ ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা মোড়ের মুরগি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, ঈদের আগেও মুরগির দাম বেড়েছিল। ঈদ শেষে মুরগির চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে। এ কারণে দাম কমেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতি হালি পোলট্রি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৪ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৪২ টাকা। এছাড়া হাঁসের ডিম ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো গত সপ্তাহের ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, গাজর ১৪০-১৬০ থেকে বেড়ে ১৮০-২০০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ থেকে কমে ৩০-৩৫ টাকা, ঝিংগা আগের মতোই ৩০-৩৫ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ২৫-৩০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুদকুষির দাম কমে ৩০-৩৫ টাকা, সজনে ৯০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০-১২০ টাকা হয়েছে।
এছাড়া চিকন বেগুন গত সপ্তাহের মতোই ৪০-৫০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০-৩৫ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, পটল ২৫-৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০-৩৫ টাকা, বরবটির দাম কমে ২৫-৩০ টাকা, পেঁপের দাম কমে ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৩০-৩৫ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৩০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৩০-৪০ টাকা, লেবুর হালি ১০-১৫ টাকা, ধনেপাতা ৮০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০-২০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৩০-৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৪০ টাকা, শুকনো মরিচ কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৮-২০ টাকা, শিল আলু ৩০-৩৫ টাকা, ঝাউ আলু ৩০-৩৫ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাকড়ি আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
লালবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, ঈদের পর বাজার এখনো জমে ওঠেনি, বেচাবিক্রি কম। দু-একটা সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়লেও অনেক সবজির দাম সহনীয়।
Advertisement
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮০-১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, চিনি ১১৫-১২০ টাকা, ছোলাবুটের দাম কমে ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) আগের মতোই ৪৫-৪৮ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৬০-৬৫ টাকা, বিআর ২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৮০-৮৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গত সপ্তাহের মতোই আকারভেদে রুই মাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, মৃগেল ২৪০-২৬০ টাকা, কারপু ২২০-২৫০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০ টাকা, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/জেডএইচ/জিকেএস