ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানের আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি ও দুই পরমাণু বিজ্ঞানীর নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
Advertisement
তবে এই হামলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও দায়ী হবে জানিয়েছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী ইসরায়েলি হামলার জবাব দেওয়ার আইনি ও বৈধ অধিকার তেহরানের রয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিপজ্জনক ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব এবং পরিণতির দায় ইসরায়েলে ও এর সমর্থকদের ওপর বর্তাবে।’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকারের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয় ও অনুমোদন ছাড়া পরিচালিত হতে পারে না। অতএব, এই শাসনব্যবস্থার প্রধান সমর্থক হিসেবে মার্কিন সরকারও ইহুদিবাদী সরকারের অভিযানের বিপজ্জনক প্রভাব ও পরিণতির জন্য দায়ী থাকবে।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত পাঁচ ধাপে ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় এই হামলা চালানো হয়েছে। অন্তত আট স্থানে শতাধিক বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
Advertisement
হামলার পর তেহরানে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলের আকাশসীমা। হামলার খবর প্রকাশের পর ইরানি কর্তৃপক্ষ তেহরানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়হু জানিয়েছেন, যতদিন প্রয়োজন ততদিন এই সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় জড়িত নয়, তিনি ইরানকে এই অঞ্চলে আমেরিকান ঘাঁটিতে হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরপরই ইরানে এই হামলা চালানো হয়েছে।
Advertisement
বিএ/জিকেএস