সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে আক্রমণের সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের বাইরে কোনো সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। শুক্রবার (১৩ জুন) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
Advertisement
এতে বলা হয়, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি বাংলাদেশ সরকারের একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি। প্রতি বছর কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানটি দর্শন করতে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। গত ৮ জুন শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির দায়িত্বরত কর্মচারী ও একজন দর্শনার্থীর মধ্যে পার্কিং টিকিট নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ও কথা কাটাকাটির জেরে হাতাহাতি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জনৈক শাহনেওয়াজ নামে একজন দর্শনার্থীকে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগও পাওয়া যায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে তদন্ত চলার মধ্যেই গত ১০ জুন ওই দর্শনার্থী শাহনেওয়াজের পক্ষে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি মানববন্ধন করে। যেখান থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমান ও অন্যান্য দায়ী কর্মচারীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন থেকে উত্তেজিত জনতা কাছারি বাড়িতে প্রবেশ করে মূলত কাছারি বাড়ির কর্মচারীদের মারধর করার উদ্দেশ্যে। সেই সময় রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়।
‘এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে, মামলায় পুলিশ এরই মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
Advertisement
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে কাছারি বাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল থেকে যথারীতি প্রশাসন ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে কাছারি বাড়ি খুলে দেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত কোনো নিদর্শন নষ্ট হয়নি। এ আক্রমণের সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের বাইরে কোনো সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। কবিগুরুর সম্মান বা মর্যাদাহানিকর কিছু ঘটেনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে গত ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আড়ম্বরপূর্ণভাবে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাজাদপুর ও নওগাঁর পতিসরে উদযাপিত হয়েছে।
আরএমএম/এমআরএম
Advertisement