দেশজুড়ে

ফেনীতে চিকিৎসকের চেম্বারে যুবদল নেতার হামলা-ভাঙচুর

ফেনীতে চিকিৎসকের চেম্বারে যুবদল নেতার হামলা-ভাঙচুর

ফেনীতে চিকিৎসকের চেম্বারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইকবাল হোসেন নামের এক যুবদল নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের চক্ষু চিকিৎসক গোলাম রসুল সুমনের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে।

ইকবাল হোসেন সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও আড়কাইম গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির মৃত আবদুল খালেকের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো নিজ বাড়িতে রোগী দেখছিলেন একই ইউনিয়নের বাসিন্দা গোলাম রসুল সুমন। এসময় যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন তার সহযোগী রোগী নুর হায়দারকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখার অভিযোগ তুলে রোগী দেখা অবস্থায় চিকিৎসকের চেম্বারে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে চিকিৎসকের অ্যাটেনডেন্স রুবেল একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করলে ইকবাল হোসেন, তার সহযোগী নুর হায়দার রাসেল ও নুর হায়দার রাজন বিতর্কে জড়ান।

Advertisement

একপর্যায়ে চেম্বারে প্রবেশ করে চিকিৎসকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন ও হুমকি দেন। যুবদল নেতা ইকবাল হোসেনের অনুমতি ছাড়া চেম্বার না খুলতে হুমকি দেওয়া হয়। এসময় তারা বাড়িতে ভাঙচুর চালান।

এ বিষয়ে চক্ষু চিকিৎসক গোলাম রসুল সুমন বলেন, ‘কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন যুবক আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। তারা আমাকে মারতে উদ্ধত হন এবং চেম্বার ও বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট চালান। এর আগে একমাস আগে কয়েকজন যুবক চেম্বারে এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন।’

জানতে চাইলে অভিযুক্ত সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়টি সঠিক নয়। রোগীর সিরিয়াল নিয়ে তর্কাতর্কির জের ধরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজিদ আকন্দ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসআর/জিকেএস