দেশজুড়ে

সৈয়দপুরে মশায় অতিষ্ঠ জনজীবন

সৈয়দপুরে মশায় অতিষ্ঠ জনজীবন

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ শহর সৈয়দপুরের মানুষ। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করেও মশার উৎপাত থেকে রেহাই মিলছে না। শহরের মধ্যদিয়ে যাওয়া মাস্টার ড্রেনে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা দীর্ঘদিনেও পরিষ্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ পৌরবাসীর।

Advertisement

জানা যায়, প্রথম শ্রেণির সৈয়দপুর পৌরসভা ১৫টি ওয়ার্ড ও ৫২টি মহল্লা নিয়ে গঠিত। জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। পৌর এলাকা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হিমশিম খেতে হয় পৌর পরিষদকে। ফলে দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলায় দুর্ভোগ বাড়ছে। সন্ধ্যা হওয়ার আগেই মশার উৎপাত বেড়ে যায়। কয়েল, স্প্রে ও লিকুইড ডিভাইসের কোনোটিই মশা তাড়াতে কাজে আসে না। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মশার উপদ্রব বাড়ায় ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে পৌরবাসীর মাঝে।

পৌরসভার সেবার মান নিয়ে পৌর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা আক্ষেপ করে বলেন, পাড়া-মহল্লায় ড্রেনের পানি জমে থাকায় মশা বাড়ছে। এসব ড্রেন পরিষ্কার করা হয় না নিয়মিত। বেশিরভাগ ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সড়কেই। ফলে বায়ুদূষণ ও মশা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সবসময় বাসায় মশারি টানিয়ে রাখতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে মশক নিধনকর্মীরা এলেও তাদের ওষুধে মশা মরে না।

আরও পড়ুন:বরগুনায় ভয়াবহ হয়ে উঠছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি, মৃত্যু ২০ বরিশালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ১১০ জন

স্ত্রী ও তিন মেয়ে নিয়ে সাহেবপাড়া এলাকায় থাকেন শামীম হোসেন। তিনি বলেন, শীত শেষ না হতেই মশার অত্যাচার বেড়েছে। মশা তাড়াতে কয়েল জ্বালালে ধোঁয়া থেকে মেয়ের শ্বাসকষ্ট ও মাথাব্যথা শুরু হয়। তাই এখন দিনের বেলাতেও মশারি টানিয়ে মশা থেকে রেহাই পাওয়া চেষ্টা করছি।

Advertisement

মশার উৎপাত এখন বড় সমস্যা উল্লেখ করে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ আব্দুল খালেক সাবু বলেন, পৌরসভার মাত্র ৩টি ফগার মেশিনের মধ্যে ২টি সচল আছে। ১৫টি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে স্প্রে করা হচ্ছে। কিন্তু এতে কোনো কাজ হচ্ছে না।

সৈয়দপুর পৌরসভার প্রশাসক নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, মশা নিধনের কাজ করছে পৌর পরিষদ। এটাও সত্য যে ওষুধ ছিটিয়ে মশা মরছে কম। শুধু পৌরসভার কর্মসূচি দিয়ে মশার উপদ্রব রোধ করা সম্ভব নয়। পৌরবাসীকেও সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এমএন/জেআইএম

Advertisement