ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

রাবিতে বামদের মধ্যেও শিবির ঢুকে গেছে: আমানউল্লাহ আমান

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যেও ছাত্রশিবির ঢুকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান। বাংলাদেশে যত জনসংখ্যা আছে, তার চেয়েও বেশি শিবিরের ‌‘বট আইডি’ আছে বলেও দাবি করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় রাবির পরিবহন মার্কেটে ছাত্রদল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘কোনো সংশ্লিষ্ট এলাকায় যদি শিবিরের ১০ জন লোক থাকে, সেই এলাকার শিবিরের সভাপতি যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো পোস্ট দেয়, সেখানে ১০ হাজার লোক কমেন্ট করে। আমার কথা হলো, এই লোকগুলো কি জান্নাত থেকে আসে? নাকি জাহান্নাম থেকে ছুটি নিয়ে আসছে তা আমরা জানি না। তাই আমি তাদের আহ্বান করছি, আপনাদের যতগুলো লোক আছে তাদের প্রদর্শন করুন। অন্তরালে থেকে অন্তর্নিহিত বয়ান আর দিয়েন না। এই রাজনীতি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আর গ্রহণ করছে না।’

এসময় রাবির ছয়টি হলে কেন ছাত্রীদের কমিটি দেওয়া হয়নি—এমন প্রশ্নের উত্তরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে ২-৩টা লেয়ারে একটি দল সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। রাবির রাজনীতি অন্যান্য ক্যাম্পাস থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। রাবির হলের প্রভোস্টরা ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে ইসলামী ছাত্রী সংস্থা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। যারা ছাত্রদলে আসতে চান না, তারা নির্দিষ্ট একটি দলের ভয়ে আসছেন না।’

আরও পড়ুন:

এর আগে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই-৩৬ আবাসিক হলে রাত ১১টার পর প্রবেশ করায় ৯১ ছাত্রীকে হল প্রাধ্যক্ষের অফিসে ডেকে বিজ্ঞপ্তি দেয় হল প্রশাসন। এ ঘটনায় তৈরি করা ফটোকার্ডের নিচে ‘এগুলো ছাত্রী নয়, এগুলো বিনা পারিশ্রমিক যৌনকর্মী’ বলে মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখ্দুম হল শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান মিলন।

এ ঘটনায় তার সাংগঠনিক পদ স্থগিত করে সত্যতা যাচাই করার জন্য দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল শাখা ছাত্রদল। তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক।

শাখা ছাত্রদল জানিয়েছে, তদন্ত কমিটির সদস্যরা অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান মিলনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি সন্তোষজনক কোনো জবাব না দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, এ কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য তিনি ইচ্ছেকৃতভাবে করেছেন। এজন্য তাকে সহসভাপতির পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নেতার নামে শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে মতিহার থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলাটি করেন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী।

মনির হোসেন মাহিন/এসআর/এমএস