জবিতে শিক্ষককে মারধর
ছাত্রদলের তিন নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার
জবি ছাত্রদলের বহিষ্কৃত তিন নেতা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের তিন নেতার ওপর হামলার ঘটনায় শাখা ছাত্রদলের তিন নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াসিন হোসেন সাইফ, সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু হেনা মুরসালিন ও বাংলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হাসান ইমান। তারা সবাই শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য।
এছাড়া একই ঘটনায় শাখা ছাত্রদলের দুই সিনিয়র নেতাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহমুদুল হাসান ও একই শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাহিদুল ইসলাম।
একই সঙ্গে ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ আজিজুল হাকিমকে সতর্ক করা হয়েছে ও তার নামে ভবিষ্যতে শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে কারণ দর্শানো ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম তাকে রক্ষা করতে গেলে তাদের গালিগালাজ ও হামলা করেন ছাত্রদলের নেতকর্মীরা। একই সঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস হাসান এবং ফারুককে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপরও হামলা ও মারধর শুরু করেন তারা।
টিএইচকিউ/এএমএ