ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
বাজেট সংকটে সৌন্দর্য হারাচ্ছে মীর মুগ্ধ সরোবর
কচুরিপানায় ঢেকে গেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মুগ্ধ সরোবর/ ছবি: জাগো নিউজ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অন্যতম নান্দনিক স্থান ‘মীর মুগ্ধ সরোবর’। ‘হাতিরঝিল অব ইবি’ খ্যাত এই সরোবর একসময় ছিল শিক্ষার্থী আর বহিরাগত দর্শনার্থীদের আড্ডা আর বিনোদনের প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাজেট সংকট ও অবহেলায় সৌন্দর্য হারাচ্ছে লেকটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সরোবরের চারপাশে জমে গেছে ঝোপঝাড় ও ময়লা আবর্জনা। পাশেই তৈরি হয়েছে ময়লার ভাগাড়, যেখান থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সরোবরে নেই পানি প্রবাহ, কচুরিপানা আর শেওলায় ঢেকে গেছে পুরো লেক। নেই পর্যাপ্ত আলো। অন্ধকারে বসছে অবাধে মাদকের আসর।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের প্রধান আলাউদ্দিন আলাল বলেন, প্রায় এক মাস আগে কচুরিপানা পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। শ্রমিকরা ১ লাখ টাকার নিচে রাজি হয়নি। কিন্তু ট্রেজারার থেকে মাত্র ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় কাজটি আটকে গেছে। শীতের আগে সরোবর পরিষ্কার করতে পারলে অনুষ্ঠানগুলো সুন্দরভাবে আয়োজন করা সম্ভব হবে। তবে সবাই আগেভাগে প্রশাসনকে জানিয়ে অনুষ্ঠান করলে জায়গা পরিষ্কার রাখা সহজ হতো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম-উত্তর প্রান্তে অবস্থিত সরোবরটির পাশে মেডিকেল সেন্টার, প্রকৌশল ভবন ও আইআইইআর ভবন। নতুন একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজও চলছে এ এলাকাতেই। একসময় নিয়মিত পানি প্রবাহ আর অতিথি পাখির উপস্থিতিতে মুগ্ধ হতো শিক্ষার্থী-দর্শনার্থীরা। এখন কচুরিপানা, শেওলা আর অন্ধকারে পরিণত হয়েছে স্থানটি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, লেকের পাশে আলো স্বল্পতার কারণে রাতে চলাচল কষ্টকর।
আরও পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ সাদা দলের দ্বিচারিতা: ইউটিএল
অর্থ উপদেষ্টার পাশে জুলাই হত্যা মামলার আসামি সাবেক উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির রিদ্ধ বলেন, একসময় সরোবরের চারপাশে ফুলের বাগান, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আর অতিথি পাখির উপস্থিতি ছিল নিয়মিত। বর্তমানে সেই দৃশ্য নেই। পুরো লেক কচুরিপানায় ভর্তি। প্রশাসনের কাছে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জানাই।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এক লাখ টাকার প্রস্তাবিত খরচের এক-তৃতীয়াংশের টাকায় কচুরিপানা কাটার মেশিন কেনা সম্ভব। মেশিন কিনলে খরচ অনেকটাই কমবে। আবার বর্ষার পর পরিষ্কার করলে শীতে পুনরায় পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়বে না। আমরা শিগগিরই কাজটি শুরু করবো।
এনএইচআর/এমএস