চাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা
চাকসু নির্বাচনের সার্বিক বিষয় জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে চবি প্রশাসন/ছবি-জাগো নিউজ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচনের আগের দিন থেকে ফলাফল প্রকাশের পর কমপক্ষে আট ঘণ্টা চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত ‘চাকসু নির্বাচনের সার্বিক বিষয় ও আইনশৃঙ্খলা’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন জানান, নির্বাচনের দিন পাঁচটি ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ হবে ওএমআর পদ্ধতিতে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।’
তিনি আরও জানান, নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতিটি ভবনের ডিনকে রিটার্নিং অফিসার এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এসময় মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) থেকে শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগত কেউ ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
আরও পড়ুন:
চাকসু নির্বাচনে ৯০৮ প্রার্থী, ভোটার সাড়ে ২৭ হাজার
চবির পাঁচ অনুষদের ১৫ কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ
ব্যালটে ভোট, গণনা ওএমআর মেশিনে
আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, ‘নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভবনে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। ট্রান্সপোর্টের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রবেশপথে প্রতিদিন টহল দিচ্ছে দুটি করে টহলদল।’
১৩ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাইরের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে জানিয়ে প্রক্টর বলেন, বহিরাগতদের প্রবেশেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইডি কার্ড বহন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন, র্যাব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম যৌথভাবে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করবে। পাঁচটি ভবনের জন্য আলাদা নিরাপত্তা স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের সময় প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া কোনো নিরাপত্তাকর্মী কাউকে ভবনে প্রবেশ করতে দেবেন না ।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘প্রায় ৩৬ বছর পর আমরা চাকসু নির্বাচনের আয়োজন করেছি। দীর্ঘদিন ধরে এই নির্বাচন হয় না। আমরা এটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। নির্বাচনকে স্বচ্ছ, ইনক্লুসিভ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মকভাবে কাজ করছি। নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিনসহ নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সোহেল রানা/এসআর/জেআইএম