ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

চাকসু নির্বাচন

সাইবার বুলিংয়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ শিবির প্যানেলের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাইবার বুলিং ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে প্রার্থীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ভুয়া পোস্ট, বিকৃত তথ্য ও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা হচ্ছে। কিন্তু এসব অনলাইন অনিয়ম মোকাবিলায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেন সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জিএস প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল অনলাইনে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর তথ্য দ্রুত শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে একদিকে যেমন সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, অন্যদিকে অনেক প্রার্থী মানসিকভাবে চাপে পড়ছেন।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ ইতোমধ্যে প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সমান সুযোগ ও ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নিরপেক্ষ ও তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ জরুরি। প্রশাসনের এ নীরবতা তাদের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচনের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

নির্বাচনের দিন তাৎক্ষণিক অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য প্রশাসন ও প্রার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠন। এছাড়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ সহায়তা ডেস্ক, সহায়ক কর্মী ও ব্রেইল প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন প্যানেলটি।

সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম রনি, জিএস প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব, এজিএস প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন মুন্নাসহ প্যানেলের অন্যান্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সোহেল রান/আরএইচ/জিকেএস