ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ঢাবির ১০ শিক্ষক ও ১৫৬ শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অতিথিদের সঙ্গে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শিক্ষকরা/ ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা অনুষদের গত তিন বছরের ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। এতে ১৫৬ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ১০ জন শিক্ষককেও অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।
দেশে/বিদেশে প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ এবং স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে ১০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান প্রধান অতিথি এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন ডিনস অ্যাওয়ার্ড স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, রেজিস্ট্রার ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন—আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার এবং ড. মো. মুমিত আল রশিদ, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু সায়েম, ড. শাফী মো. মোস্তফা এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ড. শান্টু বড়ুয়া এবং ইংরেজি বিভাগের ড. কামরুল হাসান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, মেধাকে মূল্যায়ন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। একই সঙ্গে অভিভাবকদেরও আমরা সঙ্গে রাখতে পেরেছি। আসলে আপনারাও আমাদেরই অংশ।
তিনি বলেন, মেধার অন্যতম ভিত্তি হলো পরিশ্রম। মনে রাখতে হবে, সাফল্যের পেছনে অনেকের অবদান থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের যে পরম্পরা তা তোমরা ধরে রেখেছো। এটাই আমাদের গর্ব।
উপাচার্য আরও বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা পড়াশোনাকে কিছুটা হলেও স্বীকৃতি দিতে পেরেছি। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকেও সময় দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার ও শিক্ষাজীবনের ভারসাম্যই ভবিষ্যৎকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, এই প্রোগ্রামটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক গর্বের। মেধার স্বীকৃতি দিতে পারা সত্যিই এক ধরনের সার্থকতা। একজন শিক্ষক হিসেবে এটি বড় সফলতা যে তার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। এ অর্জনের পেছনে বাবা-মাদের অবদান কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না।
সভাপতির বক্তব্যে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, আজকের এই আয়োজন আমাদের জন্য এক গৌরবময় ও বিশেষ উদযাপনের দিন। তবে কেবল এই অর্জনে আত্মতুষ্ট হয়ে থেমে গেলে চলবে না। বরং এই স্বীকৃতি আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা চিন্তা ও কর্মে সর্বদা সৎ থাকবে। অর্জিত জ্ঞানকে অহংকারের কারণে নয়, সমাজের কল্যাণে উদারভাবে বিলিয়ে দিতে হবে।
এমএইচএ/এমএমকে/এমএস