কর্মচারীকে মারধর: ছাত্রদলের ৬ জনের নামে শেকৃবি প্রশাসনের মামলা
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) চার কর্মচারীকে লাঞ্ছনা ও মারধরের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আরফান আলী বাদী হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও গুরুত্বর জখম করা সহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।
মামলায় ১ নং আসামি হলেন শেকৃবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন। অন্য আসামিরা হলেন, মেজবাউল আলম (২ নং) আব্দুল্লাহ আল মারুফ (৩ নং), এলাহী দানিয়েল (৪ নং), ফুয়াদ হাসান(৫ নং), ইয়াসিন আরাফাত মিরাজ (৬ নং)। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায় তারা প্রত্যেকেই ছাত্রদলের কর্মী।
এজাহারে জানা যায়, ৫ নভেম্বর দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রো-ভিসি দপ্তরের কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আসামিরা দলবদ্ধভাবে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর জখম করে এবং লিফটে নিয়ে পুনরায় মারধর করে। বিকেলে পরিবেশ বনায়ন বিভাগের কর্মচারী মো. আব্দুল্লাহ আল মতিকেও ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে মারধর করা হয় এবং লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে তাদেরও হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আহত কর্মচারীদের শেকৃবি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
শেকৃবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর এ বিষয়ে বলেন, প্রশাসন তাদের দায়িত্ব ও বিবেচনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আমরা সেটি সম্মান করি। ছাত্রদল একটি আদর্শভিত্তিক ও সুসংগঠিত সংগঠন, যা সবসময় ন্যায়, শৃঙ্খলা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের পক্ষে কাজ করে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শেরেবাংলা নগর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ছাব্বির আহমেদ বলেন, আমরা আসামিকে পাইনি, আসামি গ্রেফতারের প্রক্রিয়ায় রয়েছি।
এমএসএ/এএমএ/জেআইএম