অ্যাগ্রোনমি সোসাইটির সম্মেলন
দেশের কৃষি বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখে, দরকার গবেষণা-নীতি সহায়তা
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যাগ্রোনমির (বিএসএ) বার্ষিক সম্মেলন/ছবি: জাগো নিউজ
বাংলাদেশের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তন, মাথাপিছু কৃষিজমি হ্রাস, সম্পদ ও পানি সংকট, মাটির উর্বরতা কমে যাওয়া, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এবং বাড়তে থাকা খাদ্য চাহিদার মতো বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এ পরিস্থিতিতে ঝুঁকি থেকে স্থিতিশীলতা অর্জনে উদ্ভাবনী ও বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি চর্চার কোনো বিকল্প নেই।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যাগ্রোনমির (বিএসএ) ২৪তম বার্ষিক সম্মেলনে কৃষিখাত বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) টিএসসি কমপ্লেক্সে ‘ঝুঁকি থেকে স্থিতিস্থাপকতা: টেকসই কৃষির জন্য কৃষিতাত্ত্বিক উদ্ভাবন’ শীর্ষক এ সম্মেলন হয়। দিনব্যাপী আয়োজনে দেশের কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রের শীর্ষ ব্যক্তি, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিএসএর সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন আশা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম রেজাউল করিম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) ড. মো. আবদুছ ছালাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) ড. মো. মাহফুজ বাজ্জাজ, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) বাংলাদেশের সাবেক কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, শেকৃবির এগ্রোনমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিল বাকীসহ এগ্রোনমি বিভাগের অন্য শিক্ষকরা।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি, ক্লাইমেট-স্মার্ট পদ্ধতি, ফসলে বৈচিত্র্য, দক্ষ পানি ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই কৃষিবিজ্ঞান আগামী কৃষিব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি হতে হবে। দেশের ছোট ও প্রান্তিক কৃষকদের জীবিকা সুরক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গবেষণা, নীতি সহায়তা এবং মাঠপর্যায়ে কার্যকর প্রযুক্তি সম্প্রসারণকে আরও জোরদার করতে হবে। এ সম্মেলনে ভাগাভাগি করা জ্ঞান, গবেষণা ও অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের টেকসই কৃষি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সম্মেলনে ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড মিটিগেশন; সয়েল হেলথ, ফার্টিলিটি অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট; সিড অ্যান্ড উইড টেকনোলজি ফর সাসটেইনেবল অ্যাগ্রিকালচার ও ডিজিটাল অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড স্মার্ট ফার্মিং- এ চারটি থিমের ওপর মোট ৬২টি গবেষণা এবং ৪০টি পোস্টার উপস্থাপন করেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত গবেষকেরা।
এসময় বিএসএ কৃষিবিজ্ঞান ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করে।
সাইদ আহম্মদ/একিউএফ