চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
শাটলের সিটে বসা নিয়ে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের সিটে বসা নিয়ে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের শিকার রামপ্রসাদ সাহা চবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাটলে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, একই অনুষদের ব্যাংকিং এণ্ড ইন্সুইরেন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজ শিকদারসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করে।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরগামী ৪টা ৪০ মিনিটের শাটলে থার্ড সিটে বসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। রামপ্রসাদ সাহা শাটলের একটি বগির নির্ধারিত সিটের ২ নাম্বার সিটে বসা ছিলেন। বগিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় সিট সংকুলান হলে অন্য একজন শিক্ষার্থী রামপ্রসাদ সাহাদের সিটের থার্ড সিটে বসার চেষ্টা করেন। এতে তিনি অসম্মতি জানালে সামনের সিটের রিয়াজ শিকদার তাকে বহিরাগত বলে সম্বোধন করলে তার সঙ্গে কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রামপ্রসাদ সাহা বলেন, ৪টা ৪০ মিনিটের শাটল ট্রেন ধরার জন্য আমি সাড়ে ৪টায় স্টেশনে গিয়ে শাটলের একটা সিটে বসি। এরপর একজন এসে থার্ড সিটে জায়গা দিতে বলে। আমি চিকন মানুষ হওয়ায় তাকে জায়গা দিই। আরো লোকজন আসা-যাওয়া করায় সে (থার্ড সিটধারী) দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর সামনের সিটের মাঝখানের একটা ছেলে আমাকে বলছে ‘এই তুই কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী? তুই তো বহিরাগত’ এভাবে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে আমাকে মাটিতে ফেলে হাতে পায়ে যেখানে পারে মারধর শুরু করে। আমার কানে ইনজুরি আছে, ওটাকে টার্গেট আমাকে ঘুসি দেয়। আমি ভিডিও করতে গেলে আমার ফোন কেড়ে নেয়।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ফাইন্যান্স বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্যামুয়েল গনসালবেস বলেন, রামপ্রসাদ সাহা ভাই এবং ওনার পাশে আরেকজন বসা ছিল পরে আরেকজন এসে বসতে চেয়েছিল। রামপ্রসাদ ভাই বললেন, ‘যে না ৩জন বসা যাবে না’। এ নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর সামনের সিটের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রিয়াজ ভাই রামপ্রসাদ ভাইকে বহিরাগত ট্যাগ দিয়েই মারা শুরু করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রিয়াজ শিকদার বলেন, আমরা তো সাধারণত শাটলে ৩ জন করে বসি, তারা ২ জন বসা ছিলেন। আমি তাকে চেপে বসতে বলেছিলাম। তখন সে না চেপে উগ্রতা দেখিয়ে বলে, ‘আমার সেশন ১৯-২০ তুই কে?’ এরপর আমিও ১৯-২০ বলে দাঁড়াতেই সে আমার বুকে ঘুসি মারে। ঘুসিটা আমার শরীরে লাগে এবং পাশে আরেকটা ছেলে ছিল তার গায়েও লাগে। তার গায়ে লেগে তার হাত কেটে যায়। এরপর আমাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, ঘটনা শুনার পরপরই প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে আমার সহকারী প্রক্টর সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী সেখানে উপস্থিত হয়েছে এবং এটার মীমাংসা করে দিয়েছেন। আগামীকাল তারা অভিযোগ দেবে, এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোহেল রানা/কেএইচকে