চবিতে ছাত্রদল-শিবির মুখোমুখি, মূল গেটের বাইরে বহিরাগতদের অবস্থান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিবির-ছাত্রদলসহ বামপন্থি বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান, স্লোগান ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশের শঙ্কায় সব ফটক বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের বাইরে অনেক লোক অবস্থান নিয়েছে। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়কে বহিরাগতদের থেকে প্রটেক্ট করার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ফটক বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) বলেন, আমি অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে, একটি সংগঠন তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে অবস্থান নিয়েছে। আমি চাই না, চবিতে নতুন করে কোনো সহিংসতা তৈরি হোক। আমি সব ছাত্রসংগঠনকে বলবো, আপনারা আলোচনার টেবিলে এসে সমাধান করুন।
এর আগে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সব ফটকে তালা দিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ৷এসময় প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে কর্মকর্তা-কর্মচারী আটকা পড়েন।
ভবনে তালা ঝুলানোর বিষয়ে চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, গতকাল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য শামীম উদ্দিন খান পাকিস্তানিদের ‘যোদ্ধা’ বলেছেন। অথচ এই পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশের জনগণকে হত্যা করেছে। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। তার এ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ ছাড়া আমরা তারা খুলব না।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর উপলক্ষে গতকাল চবি প্রশাসনের আয়োজিত আলোচনা সভায় অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। তারা (পাকিস্তান সেনাবাহিনী) ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা জীবিত না মৃত অবস্থায় ফিরবে- সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এই ধারণা রীতিমতো ‘অবান্ত’র।
তিনি আরও বলেন, এটি একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এই দেশকে অন্য একটি দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার লক্ষ্যেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে।
এই বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গতকাল রোববার রাতে উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এরপর আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে তার পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সব গেটে তালা লাগিয়ে দেন।
সোহেল রানা চবি/কেএইচকে/এমএস
সর্বশেষ - ক্যাম্পাস
- ১ চবিতে ছাত্রদল-শিবির মুখোমুখি, মূল গেটের বাইরে বহিরাগতদের অবস্থান
- ২ চাকসুর ভিপিকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিলেন চবি ছাত্রদল সেক্রেটারি
- ৩ প্রো-ভিসির পদত্যাগ দাবি, প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদল-বামপন্থিদের তালা
- ৪ নিয়ন্ত্রণহীন চলন্ত সিঁড়ি, আতঙ্কে ব্র্যাকের শিক্ষার্থীরা
- ৫ ছাত্রদলের প্যানেলে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদ’ ফাঁকা, নারী প্রার্থী একজন