ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

মোদীর স্ট্যাটাসের প্রতিবাদে এবার জবিতে ভারতের পতাকা অঙ্কন

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

 

বিজয় দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) পাকিস্তানের পতাকা আঁকার পর এবার তার পাশেই ভারতের পতাকা এঁকেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ পতাকা অঙ্কন করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের বিজয়কে নিজেদের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ জানাতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে বিজয় দিবসের দিন রাত ১টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শাখা ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকারের কতিপয় নেতাকর্মী পাকিস্তানের পতাকা আঁকা শুরু করেন। এ সময় তারা ক্যাম্পাসের ফটক দিয়ে শিক্ষার্থীবাহী বাস বের হতে বাধা সৃষ্টি করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা, হাতাহাতি এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

একপর্যায়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাতভর প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা উপাচার্যের গাড়ি অবরোধ করে রাখেন। পরে ভোর ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে উপাচার্যসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, জুলাইয়ের পর আমরা ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ আশা করেছিলেন। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের গণহত্যা এবং মা-বোনদের ওপর অত্যাচারের প্রতীকী প্রতিবাদের জন্য একজন শিক্ষার্থীর ওপর বাংলাদেশবিরোধী কিছু দালাল হামলা চালায়।

তিনি বলেন, জবিতে কোনো স্বৈরাচার বা মব তন্ত্রের বিকাশ হতে দেওয়া হবে না। ছাত্রদল বাংলাদেশের জন্য ঘুমায় না। সবার আগে বাংলাদেশ।

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, বিজয়ের মাসে প্রতীকী প্রতিবাদে পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে গেলে প্রথমে প্রক্টরিয়াল বডির দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়। পরে আস-সুন্নাহ হলের কিছু শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এবং সাংবাদিকরাও এ সময় আক্রান্ত হন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের গণহত্যায় কিছু পাকিস্তানি সমর্থক সক্রিয় ছিলেন এবং তাদের প্রেতাত্মা এখনো বাংলাদেশে রয়েছে। পাকিস্তানকে হেয় করার ফলে তাদের অন্তরে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সেই কারণেই পাকিস্তানি পতাকা অঙ্কনের মাধ্যমে প্রতীকী প্রতিবাদে তারা বাধার সম্মুখীন হয়।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পতাকা আঁকার জন্য অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু তারা অনুমতি না নিয়ে পতাকা অঙ্কন শুরু করে এবং শিক্ষার্থীবাহী বাসকে ক্যাম্পাস থেকে বের হতে বাধা দেয়।

টিএইচকিউ/এমএএইচ/