৪শ খাসি আর ৪ হাজার মুরগিতে ভোজ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪র্থ সমাবর্তনে ৪০০ খাসি ও চার হাজার মুরগির বিশাল ভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবাবর্তন উপলক্ষে রোববার দুপুরের খাবারে ৯ হাজার ৩৭২ জন রেজিস্ট্রেশনকৃত গ্র্যাজুয়েট ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দুপুরের খাবারের জন্য এ আয়োজন করে সমাবর্তন আপ্যায়ন উপ-কমিটি।
সূত্র মতে, দীর্ঘ ১৫ বছর প্রতিক্ষা শেষে ইবির ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের সমাবর্তনে ৯ হাজার ৩৭২ জন স্নাতক, স্নাতোকত্তর, এমফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এবং সমাবর্তন বক্তা হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ মহাযজ্ঞে রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী, আমন্ত্রিত অতিথি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ প্রায় ১৪ হাজার লোক সমাগম ঘটে। বৃহৎ এ আয়োজনে অংশ গ্রহণকারীদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করে সমাবর্তন আপ্যায়ন উপ-কমিটি। ঢাকার সালাম ক্যাটারিং সার্ভিসের ১১০ জন বাবুর্চি এ ভোজের রান্নার দায়িত্ব পালন করেন।
খাবার মেনুতে বাসমতি মেহরান চালের বিরিয়ানি, ২৫০ গ্রাম খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, আলুর পিস, কোমল পানীয় এবং বিশুদ্ধ পানি ছিল বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব আবদুর রশিদ বকুল। চাহিদা অনুযায়ি প্রায় ৮০ মন খাসির মাংস সরবরাহ করা হয়। এর জন্য ৪০০ খাসি ও রোস্টেও জন্য ৪ হাজার মুরগির জোগান দেয়া হয়। নির্দিষ্ট টোকেনের মাধ্যমে স্ব-স্ব বিভাগ থেকে গ্র্যাজুয়েটরা খাবার গ্রহণ করেন।
আপ্যায়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু এবং সুচারুভাবে সকলে খাবার গ্রহণ করেছে। এখনও খাবার নিয়ে কোনো অভিযোগ শুনিনি। খাদ্য কমিটির সকলকে এ জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/আরএআর/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - ক্যাম্পাস
- ১ চবিতে ছাত্রদল-শিবির মুখোমুখি, মূল গেটের বাইরে বহিরাগতদের অবস্থান
- ২ চাকসুর ভিপিকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিলেন চবি ছাত্রদল সেক্রেটারি
- ৩ প্রো-ভিসির পদত্যাগ দাবি, প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদল-বামপন্থিদের তালা
- ৪ নিয়ন্ত্রণহীন চলন্ত সিঁড়ি, আতঙ্কে ব্র্যাকের শিক্ষার্থীরা
- ৫ ছাত্রদলের প্যানেলে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদ’ ফাঁকা, নারী প্রার্থী একজন