পরীক্ষায় নকলের দায়ে ইবির ৯ শিক্ষার্থীকে সাজা
পরীক্ষার হলে নকল করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন বিভাগের ৯ শিক্ষার্থীকে সাজা দেয়া হয়েছে। সোমরার দুপুর ১টার দিকে পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাদের শাস্তির সিদ্ধান্ত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বরাবর শাস্তির সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে আজাদ লাভলু ।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী জাগো নিউজকে বলেন, সম্পূর্ণ নকলমুক্ত একটা শিক্ষাঙ্গন চাই। এ লক্ষ্যেই আমি কাজ করছি। নকলের বিরুদ্ধে আমি সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। আর আজকের এই শাস্তির মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীদের ম্যাসেজ দিতে চাই। নকলের শাস্তি হবে সর্বোচ্চ। কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় নয়।
পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আশকারীর সভাপতিত্বে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহা, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক আনিছুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে আজাদ লাভলু উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্তরা শিক্ষার্থীরা হলেন- দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান, সুলাইমান, আহসান খন্দকার। লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেন ও তারিকুল ইসলাম। হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু জায়েদ শেখ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। এই সাত জনের সংশ্লিষ্ট বছর ও সেমিস্টারের সকল কোর্স বাতিল করা হয়েছে এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের সঙ্গে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ (মাস্টার্স) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হোসনেয়ারা খাতুন ও যুথী খাতুনকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এই দুইজনের সংশ্লিষ্ট একটি কোর্স বাতিল করা হয়েছে।
ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/আরএআর/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - ক্যাম্পাস
- ১ চবিতে ছাত্রদল-শিবির মুখোমুখি, মূল গেটের বাইরে বহিরাগতদের অবস্থান
- ২ চাকসুর ভিপিকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিলেন চবি ছাত্রদল সেক্রেটারি
- ৩ প্রো-ভিসির পদত্যাগ দাবি, প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদল-বামপন্থিদের তালা
- ৪ নিয়ন্ত্রণহীন চলন্ত সিঁড়ি, আতঙ্কে ব্র্যাকের শিক্ষার্থীরা
- ৫ ছাত্রদলের প্যানেলে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদ’ ফাঁকা, নারী প্রার্থী একজন