প্রভোস্ট ছাড়াই চলছে বশেমুরবিপ্রবির শেখ রাসেল হল
ফাইল ছবি
প্রায় দুই মাস ধরে প্রভোস্ট ছাড়াই চলছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শেখ রাসেল হল। প্রভোস্ট না থাকায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শুধু হলে অবস্থানরত আবাসিক শিক্ষার্থীরাই নয়, ভুক্তভোগী হচ্ছেন সদ্য পড়াশোনা শেষ করা ছাত্ররাও। ক্লিয়ারেন্স নিয়ে হল ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষাজীবন শেষ করা শিক্ষার্থীদেরও।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বশেমুরবিপ্রবির তৎকালীন উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের পর শেখ রাসেল হলে প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পান অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফায়েকুজ্জামান মিয়া টিটো। এরপর গত ১৭ এপ্রিল রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোরাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, হল প্রভোস্ট ফায়েকুজ্জামান মিয়া ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। এর দুই মাস পার হয়ে গেলেও এ হলে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জসিম বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বালাই পর্যন্ত নেই। দুর্গন্ধে হলের প্রতিটি তলার ওয়াশরুমে ঢোকা যায় না। হলের অফিসে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ হারপিক কিনে দিলে পরিষ্কার করা হবে বলে পরিচ্ছনতাকর্মীরা জানান। হল প্রভোস্ট না থাকায় সমস্যা হচ্ছে।
হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী মাহিদুল্লাহ বলেন, প্রতি মাসে ভাড়া তো ঠিকই দিচ্ছি। অথচ কোনো সেবা পাচ্ছি না। আমাদের সমস্যার কথা শোনারই কেউ নেই।
শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, হাশেম রেজা স্যার মাঝে মাঝে খোঁজ-খবর নেন। তবে হল প্রভোস্ট ছাড়া খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
তদারকির অভাবে হলের উন্নয়ন কাজও চলছে ধীর গতিতে। এদিকে, শেখ রাসেল হলের ডাইনিংও বন্ধ আছে। ফলে, বাইরের হোটেলগুলোতে গিয়ে বেশি দামে খাবার খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের সহকারী প্রভোস্ট হাশেম রেজা বলেন, হল প্রভোস্ট ছাড়া হল চালানো খুবই কঠিন। হলের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলাও সম্ভব হচ্ছে না, যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের হলের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব। অনেক সময় ব্যক্তিগতভাবে কিছু কিনে পরিবেশ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। এ অবস্থায় একজন হল প্রভোস্ট নিয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোরাদ হোসেন বলেন, পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিকল্প কাউকে নিয়োগ দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে।
এমআরআর/এএসএম