ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

র‌্যাম্পে হাঁটলো গরু-ছাগল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩

দেখতে কুচকুচে কালো। চোখের দুপাশে শিংয়ের খানিকটা ওপরে ঝুলে আছে কয়েক কেজি মাংস। অতিরিক্ত মাংসের কারণে চোখ খুঁজে পাওয়া দুরূহ। দেখতে ব্যতিক্রমী হওয়ায় দর্শনার্থীদের আগ্রহের মূলে রয়েছে জাফরাবাদি জাতের একটি মহিষ। প্রাণীটি দেখতে এবং ছবি তুলতে জনসমাগম লেগেই আছে স্টলে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী (৬-৭ জানুয়ারি) গবাদিপশু প্রদর্শনীর শেষদিনে আরও বিভিন্ন জাতের গরু-ছাগল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন এলাকার খামারিরা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ক্যাটল ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

মেলায় বিশাল বিশাল গরু-মহিষের সঙ্গে দেখা মিলেছে ছোট বামন জাতের গরুও। বয়স দুই বছর হলেও দেখতে ঠিক ছাগলের মতো। মালিকের দাবি, এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট গরু।

প্রথমবারের মতো এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোট ১৫০ জন খামারি তাদের খামারের সেরা গবাদিপশু নিয়ে হাজির হয়েছেন। এসময় খামারিরা তাদের পশুগুলোকে একের পর এক র‌্যাম্পে হাঁটিয়ে আগত দর্শনার্থীদের সামনে প্রদর্শন করেন।

মেলায় উন্নত জাতের প্রায় ৪০০টি গরু, ছাগল, মহিষ, দুম্বা ও ভেড়া প্রদর্শিত হয়েছে। এছাড়া আরও ৩০টি স্টলে খামারসংশ্লিষ্ট ছোটখাটো যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ, গোখাদ্য প্রদর্শন করা হয়েছে।

মেলায় ঘুরতে আসা তুহিন সরকার জাগো নিউজকে বলেন, এত গরু-ছাগল একসঙ্গে প্রথমবার দেখছি। এত ভিন্ন ভিন্ন জাতের গরু যে হতে পারে সেটি মেলায় না এলে জানতাম না।

তিনি বলেন, ছোট শিশুরাও খুব আনন্দ পাচ্ছে। গ্রামে যাওয়া হয় না বলে তাদের কাছ থেকে গবাদিপশু দেখানোর সুযোগ কম। পরিবার নিয়ে মেলায় এসে সবারই ভালো লাগছে।

মেলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে পশু নিয়ে আসা এস এস ক্যাটল ফার্মের সহকারী জাগো নিউজকে বলেন, আমরা দুটি গরু এবং দুটি মহিষ নিয়ে এসেছি। ভারত থেকে আমদানি করা জাফরাবাদি জাতের একটি মহিষ আছে, যার ওজন এখন ১ হাজার ১০ কেজি। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশের অন্য ফার্মের খামারিরা পশুদের কীভাবে যত্ন নেন এবং বর্তমানে দেশে পশুর ওজন, স্বাস্থ্য কেমন সেগুলোর ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়া পরস্পর তথ্য আদান-প্রদানের সুযোগ পাওয়া যায়। ভবিষ্যতে প্রদর্শনীটি আরও বড় আকারে হবে বলে আশা করছি।

এমআরআর/এএসএম