ঢাকা কলেজ মেডিকেল সেন্টার
এক বছরে চিকিৎসা নিলেন হাজারের বেশি শিক্ষার্থী
চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা কলেজের এক কর্মচারী
দীর্ঘদিন বন্ধের পর এক বছর আগে চালু হয় ঢাকা কলেজের মেডিকেল সেন্টার। এ সময়ে হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী স্বাস্থ্য সেবা নিয়েছে মেডিকেল সেন্টারে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে ঢাকা কলেজের মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক রয়েছেন একজন। তবে কোনো সহকারী নেই। ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদ ভবনের নিচ তলার মেডিকেল সেন্টারে রবি, মঙ্গল ও বুধবার, এই তিনদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রোগী দেখেন ওই চিকিৎসক।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগই জ্বর, সর্দি, হাড়ের সমস্যা, পেটের অসুখ, ডায়াবেটিক, উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপ, মাথাব্যথা, শারীরিক দুর্বলতা এমন সব সমস্যা নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষে চলছে ঢাকা কলেজ, উন্নয়ন-সিদ্ধান্তগ্রহণে সংকট
তবে মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে খুশি সাধারণ শিক্ষার্থীরা৷
সুমন নামের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, মেডিকেল সেন্টার থাকার ফলে আমাদের অনেক উপকার হচ্ছে। আগে সামান্য কোনো অসুস্থতা থাকলে হাসপাতালে যেয়ে চিকিৎসা নিতে হতো। এখন আমরা মেডিকেল সেন্টারে যেয়ে চিকিৎসা নিতে পারি। এখানকার স্বাস্থ্য সেবার মানও ভালো।
ঢাকা কলেজের আরেক শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল সেন্টারে সপ্তাহে তিনদিন ডাক্তার বসে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে চিকিৎসা সেবা থাকলে ভালো হতো।
আরও পড়ুন: ২৬ বছর ধরে ছাত্র সংসদ নেই ঢাকা কলেজে
ঢাকা কলেজের কর্মচারী নজরুল ইসলাম বলেন, আমার হাই প্রেসারের সমস্যা। আগে চেকআপ করতে বাইরের হাসপাতালে যেতে হতো। এখন কলেজের মেডিকেল সেন্টারে সুযোগ পাচ্ছি। আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাহমিনা সুলতানা বলেন, আমি এক বছর এখানে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। চেষ্টা করছি, শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে৷
সেন্টারে কোনো মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন সহকারী থাকলে শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে সুবিধা হয়। এছাড়া ইমার্জেন্সি রোগীদের জন্য এখানে যে ওষুধ রাখা হয়, সেগুলো বাড়ালে আরও বিস্তৃত পরিসরে চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো।
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে বিভ্রান্তিতে ঢাকা কলেজ
গত বছরের ১৮ জানুযারি চালু হওয়া মেডিকেল সেন্টার প্রথমে ২ জন চিকিৎসক দিয়ে শুরু হলেও এখন একজন রয়েছেন।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে তারপরও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা মেডিকেল সেন্টারের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে যাতে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে চিন্তা করবো।
নাহিদ হাসান/এমএইচআর/জেআইএম
সর্বশেষ - ক্যাম্পাস
- ১ খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ দিনের শোক কর্মসূচি
- ২ শেকৃবিতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে বাধা, সতর্ক করলো প্রশাসন
- ৩ খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে জবি থেকে যাবে ৬ বাস
- ৪ খালেদা জিয়ার মৃত্যু নিয়ে ডাকসু নেতার বিতর্কিত পোস্ট, দুঃখ প্রকাশ
- ৫ জবি শিক্ষককে হেনস্তা: জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার দাবি