ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রমজানেও হলের ডাইনিং-ক্যান্টিনে নিম্নমানের খাবার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | রাবি | প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২৩

রমজানে ক্যাম্পাস ছুটি না হওয়ায় আবাসিক হলে থেকেই রোজা করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এদিকে, হলেন ডাইনিং-ক্যান্টিনের নিম্নমানের খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে রোজা রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ১৭টি আবাসিক হলে আগের মতোই খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। রমজান মাস উপলক্ষে খাবারে নেই কোনো বিচিত্রিতা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে খাবারে পরিবর্তন আনতে পারছেন না ডাইনিং-ক্যান্টিন মালিকরা। এদিকে, রমজান মাস ঘিরে খাবারের বিষয়ে হল প্রশাসনকেও কোনো রকম সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রোজার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং-ক্যান্টিনের খাবারের মানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। মোটা চাল, ভাতে গন্ধ, স্বাদহীন তরকারিসহ একই ধরনের রান্না সারা মাস চলে। এমন খাবার খেয়ে রোজা রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। অনেকের পরীক্ষা চলছে, যে কারণে নিজে রান্না করে খাওয়ার সময়ও হয়ে উঠছে না।

এদিকে গত (২৬ মার্চ) বিকেলে খাবারের গুনগত মান ঠিক না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের মূল ফটকে তালা মেরে আন্দোলন করেন একদল শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হল ১১টি ও ছাত্রী হল ছয়টি। ছাত্রদের সব হলেই ডাইনিং-ক্যান্টিন চালু আছে। ছাত্রীদের রোকেয়া ও মন্নুজান হল ছাড়া বাকিগুলোতে সেই অর্থে ডাইনিং চলে না। তবে দামের তুলনায় খাবারের নিম্নমান নিয়ে ভোগান্তি সব হলেই রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলে কয়েকদিনের জন্য মান ঠিক থাকে কিন্তু কিছুদিন পর আবার আগের অবস্থা হয়। অথচ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দুইবেলা খাবারের দাম আট টাকা করে বাড়িয়ে দুপুরের খাবার ২৮ টাকা ও রাতের খাবার ২২ টাকা করা হয়েছে। রোজায় ক্যান্টিনেও বিভিন্ন খাবারে ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

খাবার নিয়ে ভোগান্তির কথা জানিয়ে জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মানিক মিয়া বলেন, রোজা শুরুর পর থেকে ডাইনিং-ক্যান্টিন দুই জায়গায় আমি খেয়েছি। দুটাতেই খুব বাজে খাবার। মোটা চাল, ভাত সিদ্ধ হয় না, তরকারি আগের থেকেও খারাপ। এ খাবার খেয়ে রোজা রেখে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি। আমি হল প্রশাসনকে বলবো, আপনারা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করুন। প্রয়োজন হলে ভর্তুকি দিন তবুও খাবারের মান বাড়িয়ে আমাদের বাঁচতে সহায়তা করুন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ডাইনিং কমিটির সভাপতি মুহাম্মাদ হক বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে দিগুণের বেশি হয়েছে। মাছ, ডিম থেকে শুরু করে তেল-মসলা সবকিছুর দাম বেশি। এই দামে কীভাবে আরও ভালো খাবার দেওয়া যায় বুঝতে পারছি না। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি ভালো দেওয়ার।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রাধ্যক্ষ পরিষদ সভা করে শুধু সিদ্ধান্ত জানায়। আমাদের কোনো মতামত জানতে চায় না। তাহলে আমাদের অবস্থা দেখবে কে, জানতে চান তিনি। সভা করে তারা একই দামে আরও ভালো খাবার দিতে বলেছেন, কিন্তু সেটা কীভাবে দেব, প্রশ্ন করেন তিনি। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের ভালো খাওয়াতে বললে ভর্তুকি দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ড. সায়েদা নুসরাত জাহান বলেন, এবছর রমজান মাসে হলের ডাইনিংয়ে খাবারের দাম বাড়ানো হয়নি। কেননা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমরা অভিযোগ পাই, দাম বাড়লেও খাবারের মান বাড়ে না। তাই এই রোজায় দাম না বাড়িয়ে খাবারের মান বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তাছাড়া দ্রব্যমূল্যের কথা বিবেচনা করে গত বছর খাবারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন সেই তুলনায় খাবারের মান আরও খারাপ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মনির হোসেন মাহিন/এমআরআর/এএসএম