ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

সিকৃবি প্রক্টর-রেজিস্ট্রার মারামারি, ৬৭ শিক্ষক-কর্মচারীর পদত্যাগ

প্রকাশিত: ০৭:০২ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৬

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) শিক্ষক নিয়োগ ও প্রক্টর-রেজিস্ট্রারের মারামারিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ জন শিক্ষক ও ১২ জন কর্মচারী একযোগে পদত্যাগ করেছেন। বুধবার উপাচার্য বরাবরে তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

এ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। এদিকে, শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করায় বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিকৃবিতে ২৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। নিয়োগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েবের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটনা করছিলেন প্রক্টর মো. আবদুল বাছেত। গত মঙ্গলবার রাতে মৌখিক পরীক্ষা বোর্ড থেকে বের হওয়ার পর প্রক্টরকে পেয়ে কুৎসা রটনার কারণ জানতে চান রেজিস্ট্রার। এ সময় প্রক্টর বাছেত রেজিস্ট্রার শোয়েবকে লাঞ্ছিত করেন। শোয়েবও চড়াও হন প্রক্টরের উপর। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন।

এ নিয়ে মঙ্গলবার রাত ৩টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষ ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান। বুধবার সকাল থেকে উভয় পক্ষ ফের ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রক্টর বাছেতের বহিষ্কারের দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। এ দাবিতে তরা উপাচার্য বরাবরে স্মারকলিপি দেন।

অপরদিকে রেজিস্ট্রার শোয়েবের অপসারণের দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষকরা। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রক্টরের পক্ষ নিয়ে রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ জন শিক্ষক ও ১২ জন কর্মচারী উপচার্যের কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।

এ বিষয়ে জানতে প্রক্টর আবদুল বাছেতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগে অবৈধ আবদার না রাখায় প্রক্টর বাছেত আমার উপর হামলা চালিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তারা ঐক্যবদ্ধভাবে এর প্রতিবাদ করছেন।

সিকৃবির উপাচার্য মো. গোলাম শাহি আলম পদত্যাগপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শিগগিরই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

ছামির মাহমুদ/বিএ