ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

২ ঘণ্টা বিক্ষোভের পর ফটক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটক আটকে দুই ঘণ্টা বিক্ষোভের পর সরে গেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

আন্দোলনে দুই ঘণ্টা আটকা পড়ে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহগামী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস।

আরও পড়ুন: ইবির ২ শিক্ষার্থী স্থায়ী ও ৩ জন সাময়িক বহিষ্কার

জানা যায়, সম্প্রতি হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, হিশাম নাজির শুভ, সাদমান সাকিব আকিব, ও শেখ সালাউদ্দীন সাকিবের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্টের ৪ এবং ৫ ধারা মোতাবেক অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ইমন ও হিশাম নাজির শুভকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং বাকি তিনজনকে আগামী এক বছরের জন্য বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল ৪টায় শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন।

iu-(2).jpg

বিক্ষোভ শুরুর ৩০ মিনিট পর প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হন। তারা বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেও পরিস্থিতি শান্ত করতে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে পৌনে ৬টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সমঝোতায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ

শিক্ষার্থীদের দাবি আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়েই ভুয়া তদন্তের মাধ্যমে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা অযৌক্তিক। বিক্ষোভে তারা বর্তমান তদন্ত কমিটি অপসারণ করে তার স্থলে নতুন কমিটি দিয়ে নতুন করে তদন্তের জোর দাবি জানান। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তারা। পরবর্তীতে প্রাথমিকভাবে নেওয়া বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্তই যদি সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করা হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, বহিষ্কারের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করার উৎসব চলছে। এখন শিক্ষার্থীরা যদি আত্মহত্যা করে তাহলে এর দায়ী কে নেবে? এ কমিটির দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন ভুয়া। কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই বহিষ্কার করা হচ্ছে। অবিলম্বে বর্তমান তদন্ত কমিটি সরিয়ে তার জায়গায় নতুন কমিটি দিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তের সাপেক্ষে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানাই।

বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর আমজাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রক্টরের সঙ্গে কথা হয়েছে, এটি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখনো রেজুলেশন হয়নি। তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির এ সিদ্ধান্ত পরবর্তী সিন্ডিকেটের সুপারিশ আকারে যাবে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে মধ্যরাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। তবে তাকে নিয়ে কোনো আন্দোলন হয়নি।

রুমি নোমান/এসজে/এমএস