ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

কোটা বাতিল আন্দোলন

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, ০৩ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দাবিতে দুই ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কের উভয় লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে অবরোধ করেন তারা।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

অবরোধের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসেও দেখছি সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান। এই বৈষম্যের জন্যই কি বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন? আমরা ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছি। আমরা কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানাই।’

কোটা পদ্ধতি বাতিল চেয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাবি শিক্ষার্থীরা

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘আগামীকাল (৪ জুলাই) কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি হবে। সেখানে যদি সরকারি চাকরিতে কোটা বহাল রাখা হয়, তাহলে আমাদের আন্দোলন আরও জোরালো হবে।’

এদিকে অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। তারা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যান। পরে বিকেল ৫টায় অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেন তারা।

এ বিষয়ে প্রক্টর মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছি যাতে তারা সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি খেয়াল রাখে। তবে যেহেতু এটা জাতীয় ইস্যু, তাই শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।’

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, অবরোধের খবর পেয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এসআর/জিকেএস