যাত্রী-যানবাহনের চাপ নেই, গাজীপুরে দুই মহাসড়ক ফাঁকা
আজ শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে শেষ মুহুর্তে বাড়ি ফিরছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। জনবহুল গাজীপুরের বিভিন্ন পথঘাট এখন অনেকটাই ফাঁকা। ব্যস্ততম স্থানগুলোতে নেই চিরচেনা কোলাহল।
রোববার (৩০ মার্চ ) সকাল থেকে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক প্রায় যানবাহনশূন্য হয়ে পড়েছে। এরআগে শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে মহাসড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ থাকলেও উল্লেখ করার মতো যানজট ছিল না। চন্দ্রা ও গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি ছিল।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুরের সকল কলকারখানা শনিবার বিকেলের মধ্যে ছুটি হয়ে গেছে। তবে এবার কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে ছুটি হওয়ায় মহাসড়কে একসঙ্গে চাপ কম পড়েছে। এছাড়াও অধিকাংশ কারখানা ১০ দিন ছুটি হওয়ায় শ্রমিকরা ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরেছেন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা যাওয়ায় শনিবার রাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়। এতে মধ্যরাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী স্টেশন রোড, কলেজগেট, চেরাগআলী, বোর্ডবাজার, চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহনের ব্যপক চাপ দেখা যায়। অপরদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর বাজার থেকে চন্দ্রা হয়ে টাঙ্গাইলের গোড়াই পর্যন্ত ও নবীনগর-চন্দ্রা রোডের চক্রবর্তী পর্যন্ত যানবাহনে চাপ ছিল। দীর্ঘসময় চন্দ্রা এলাকায় যানজটের কবলে পড়েন যাত্রীরা। তবে সেহরির পর থেকে মহাসড়ক ফাঁকা হয়ে গেছে।

জানা যায়, শেষ মুহূর্তে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মুদি দোকানদার, রিকশাচালকরা বাড়ি ফিরছেন। মূলত গাজীপুরের অধিকাংশ ব্যবসা গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকদের ঘিরে। শ্রমিকরা গতকাল রাতেই বাড়ি চলে যাওয়ার সকাল হতে এসকল ব্যবসায়ী ও রিকশা চালকরা বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন।
আগে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার আনন্দের সঙ্গে যানজটের ভোগান্তি ছিল উত্তরের যাত্রীদের চিরায়ত দৃশ্য। এবারের চিত্রটি ছিল তাদের কাছে অন্যরকম। প্রতিবারের মতো চিরচেনা দীর্ঘ যানজট ও ভোগান্তি ছিল না। অনেকটা মনের আনন্দে হেসেখেলে গেছেন গাঁয়ের পথে। সাধারণত শিল্প কারখানা ছুটি হলে ঈদের আগে গাজীপুরের দুই মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ঘরমুখো মানুষ তিন ঘণ্টার রাস্তা পাড়ি দিতে ১০ ঘণ্টা লেগে যেতো। তবে এবারের চিত্রটা পুরোপুরি বিপরীত। স্বাভাবিক সময়ের মতো ঈদে বাড়ি ফেরার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন শহরে বসবাসরত কর্মজীবী মানুষেরা।
নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে মহাসড়কে বেশ চাপ ছিল তবে মধ্যরাতের পর থেকেই স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সকাল থেকেই মহাসড়ক কার্যত ফাঁকা হয়ে গেছে। তারপরও পুলিশ সড়কে কাজ করে যাচ্ছে।
মো. আমিনুল ইসলাম/এমএন/জেআইএম