ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গাইবান্ধা

তীব্র গরমে নাজেহাল মানুষ

জেলা প্রতিনিধি | গাইবান্ধা | প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

গাইবান্ধায় হঠাৎ মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৩২শতাংশ। যা গরমের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় লোক সমাগম কম। জরুরি কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। কর্মজীবী মানুষেরা অতিরিক্ত গরমে হাঁসফাঁস করছেন।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ সাময়িক হলেও এর তীব্রতা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। অন্যদিকে গরম ও আর্দ্রতার সংমিশ্রণে বেড়ে গেছে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা। এ অবস্থায় শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থদের সতর্ক থাকতে এবং যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

তীব্র গরমে নাজেহাল মানুষ

রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুদিন এরকম থাকতে পারে তাপমাত্রা।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার রাধাকৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে শহরে রিকশা চালাতে এসেছেন ৭০ বছরের বদিয়ার উজ্জামান। তীব্র গরমে গাছের ছায়ায় বসে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।

বদিয়ার উজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সংসারে চারজন খানেআলা। হামার কামাই দিয়ে সংসার চলে। তাই কড়া রোদের মধ্যেও গাড়ি নিয়ে বের হইছি। শহরত লোকজন নাই তাই গাছের নিচে রিকশা রাখে উপরত বসে আরাম নিচ্ছি।’

তীব্র গরমে নাজেহাল মানুষ

আরেক রিকশাচালক সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘গরমের ঠেলায় শহরের লোকজন কম। এজন্য রিকশার ভাড়া নেই। রিকশা না চালালে খামো কী? গরম নাগলেও কামাই করা লাগবে।’

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্তাবধায়ক ডা. মো. রফিকুজ্জামান বলেন, এই গরমে শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও শ্রমজীবী ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। রিকশাচালক, কৃষক, নির্মাণ শ্রমিকরা বাইরে কাজ করেন বলে তাদের হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া যাদের ওজন বেশি, হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাদের গরম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি।

এ এইচ শামীম/এসআর/জিকেএস