ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সোনারগাঁ

খানাখন্দে ভরা বারদী-শান্তির বাজার সড়ক, ভোগান্তি

উপজেলা প্রতিনিধি | সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) | প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

খানাখন্দে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদী-শান্তির বাজারের সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক এখন মরণফাঁদে পরিণত প্রায়। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ এলাকার মানুষকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বারদী ইউনিয়ন থেকে আড়াইহাজার থানা এলাকার সংযুক্ত সড়কটির পুরো অংশে কয়েকশো খানাখন্দ। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন ও যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। মূল সমস্যার সম্মুখীন হন যাত্রী সেবায় নিয়োজিত ধীর গতির অটোরিকশাগুলো।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সড়কটি দিয়ে প্রায় ২৫ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। এখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান খ্যাত লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম রয়েছে, সেই সঙ্গে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর জন্মভিটা থাকায় এ ইউনিয়নে পর্যটকদের নিয়মিত আনাগোনা রয়েছে। অথচ সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা সড়কটিতে কারো নজর নেই। বেহাল দশার কারণে প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা কয়েকশ যানবাহনের মধ্যকার দুয়েকটা ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এদিকে সোনারগাঁ উপজেলাটি পর্যটক স্পট হওয়ায় বারদীতে আসা পর্যটকদের যাতায়াতের প্রধান এবং অন্যতম পথ এটি। অথচ এমন দুরবস্থার মেরামতে এখনও পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

খানাখন্দে ভরা বারদী-শান্তির বাজার সড়ক, ভোগান্তি

ওই সড়কে চলাচল করা অটোরিকশাচালক মোসলেম উদ্দিন জানান, রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে আমাদের কষ্ট হয়। এ রাস্তা পুরাটাই ভাঙা অথচ মেরামতের জন্য কেউ এগিয়ে আসে না। বিশেষ করে বৃষ্টির সময়ে রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে আমাদের গাড়ি এঁকে বেঁকে পড়ে যায়। আমরা দ্রুত সংস্কার চাই।

রহিম মিয়া নামের আরেক অটোচালক বলেন, রাস্তার অবস্থা এতোটাই খারাপ যে অসুস্থ রোগী আরও অসুস্থ হয়ে যায়। সপ্তাহে একদিন অন্তত মিস্তিরির কাছে গিয়ে গাড়ি ঠিকঠাক করা লাগে। বৃষ্টির দিনেতো রাস্তা হাঁটু সমান পানি জমে থাকে।

মুসলেন্দপুর গ্রামের আলতাফ জানান, আমাদের এ রাস্তায় চলাফেরা এখন খুবই কষ্টকর। গাড়িঘোড়া চলাচলে খুব বেশি সমস্যা হয়ে যায়। এর ভেতর যদি বৃষ্টির দিন হয় তাহলে তো আমাদের ভোগান্তির শেষ নাই।

চেঙ্গাকান্দি গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী সিফাত বলে, আমাদের চলাফেরা বেশ কষ্টকর। আমরা ভোগান্তি নিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করি। যদি এ রাস্তা ঠিক করে দেয় তাহলে আমাদের উপকার করা হবে।

খানাখন্দে ভরা বারদী-শান্তির বাজার সড়ক, ভোগান্তি

এ বিষয়ে বারদী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল জাগো নিউজকে বলেন, এ রাস্তাটির বিষয়ে আমি আমাদের মাসিক মিটিংয়ে বলেছি। স্থানীয় প্রশাসন এ রাস্তা সম্পর্কে অবহিত আছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করা হবে।

সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের হিসাব সহকারী আফজানা ইসলাম বলেন, আমি এখানে নতুন জয়েন করেছি। তাই আমি সেভাবে সড়ক সম্পর্কে বলতে পারবো না।

সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, আমাদের সব কার্যক্রমের কাগজপত্র জুলাই মাস হতে জমা শুরু হয়। এরপর আগস্ট-সেপ্টেম্বর গিয়ে টেন্ডার পাশ হয়ে থাকে। আমি নতুন জয়েন করেছি এখানে।

মো. আকাশ/আরএইচ/এএসএম