উপবৃত্তি ভোগের ৯৬৭ অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন, শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্ত

জয়পুরহাটের কালাইয়ে বেআইনিভাবে উপবৃত্তির সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্ট পরিবর্তনের অভিযোগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ওয়েবসাইটে দেওয়া প্রজ্ঞাপন থেকে বরখাস্তের বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঢাকা থেকেই বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে আমাদের কাছে এখনো কোনো চিঠি আসেনি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গত ২২ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আবু তাহের মো.মাসুদ রানা সই করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২৪ ও ২৫ অর্থবছরে জুলাই থেকে ডিসেম্বর কিস্তিতে কালাই উপজেলার ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি সুবিধাভোগী ৯৬৭ জন অভিভাবকের মোবাইল অ্যাকাউন্ট নম্বর বেআইনিভাবে পরিবর্তন করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। তদন্তে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা এবং সরকারি চাকরির আইন অনুযায়ী আদেশ জারির দিন থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, সাময়িক বরখাস্ত বিষয়ে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি আসেনি তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ওয়েবসাইটের প্রজ্ঞাপনে ম্যাসেজ পেয়েছি। উপবৃত্তির টাকার বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার নম্বর ব্যবহার করে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমি থানায় জিডি করি। যে তদন্ত দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে আমি জড়িত নেই।

আল মামুন/এমএন/জিকেএস