ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতাল

‘শিশু জন্ম নিলে দিতে হয় ১৫০০ টাকা বকশিশ, সময়মতো আসেন না চিকিৎসক’

জেলা প্রতিনিধি | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৯:৩৬ পিএম, ০৪ মে ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে শিশুসন্তান জন্ম হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বকশিশ দিতে হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। পাশাপাশি হাসপাতালে সময়মতো চিকিৎসক না আসা, রোগ নির্ণয়ে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাসহ আটটি অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

রোববার (৪ মে) বেলা ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পরে একই দাবিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন ছাত্র আন্দোলনে যুগ্ম আহ্বায়ক সাকির আহম্মেদ। তিনি বলেন, বেশিরভাগ চিকিৎসক নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালে আসেন না। অনেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতাল থেকে চলে যান। হাসপাতালে আসা রোগীদের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষার জন্য রোগীদের পাঠানো হচ্ছে ক্লিনিকে। হাসপাতালের আলট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রেসহ বিভিন্ন পরীক্ষার সময় নির্ধারিত না থাকায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে রোগীরা।

এসময় তিনি ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের নিয়মিত রাউন্ড না দেওয়া, দালালদের উৎপাত, শিশু ওয়ার্ডে দক্ষ নার্স না থাকা, কারও সন্তান জন্ম হলে গাইনি ওয়ার্ডে দেড় দুই হাজার টাকা বকশিশ নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

‘শিশু জন্ম নিলে দিতে হয় ১৫০০ টাকা বকশিশ, সময়মতো আসেন না চিকিৎসক’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের পর দীর্ঘসময় পার হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে চিকিৎসাখাতে কোনো সংস্কার হয়নি। সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে একজন চিকিৎসক বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আব্দুর রাহিম, সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদ, মুখ্য সংগঠক মোত্তাসিন বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা।

পরে একই দাবিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। স্মারকলিপি পাওয়ার পর পরিস্থিতির উন্নতিতে সাত দিনের সময় চেয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, এরইমধ্যে পরিস্থিতির উন্নতিতে বেশ কিছু বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সন্তান জন্ম হলে বকশিশ নেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। আমরা এগুলো তদন্ত করছি।

সোহান মাহমুদ/এসআর/এমএস