কুমিল্লার মুরাদনগর
মামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ভুক্তভোগী নারীর
গ্রেফতার চার আসামির সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে
কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী। সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে তার নিজ বাড়িতে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। এরআগে রোববার (২৯ জুন) মামলাটি তুলে নেবেন বলে জানিয়েছিলেন ওই নারী।
এদিকে ভুক্তভোগী নারীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুমনসহ চারজনের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী নারী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাহেরচর গ্রামের আবুল কালাম (আবুল) ও মুকুল আমাকে বলেছে মামলা তুলে নিতে। তাহলে দেশটা শান্তি হবে, নাহলে আসামিরা জামিনে আসবে। ওইসময় আমাদের সমস্যা হবে এবং বাড়িতে থাকতে পারবো না। যে কারণে আমি সাংবাদিকদের বলেছি, মামলা তুলে নেবো। আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আমি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) এ কে এম কামরুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী নারীর করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা সুমনসহ চার আসামির সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী অসুস্থ থাকায় তাকে কুমিল্লা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকের ছাড়পত্র পেলে যে কোনো সময় তাকে আদালতে তোলা হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন:
- ভুক্তভোগীর অভিযোগ ‘ধর্ষণ’, স্থানীয়রা বলছেন ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ধরা
- ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে বিবস্ত্র নারীর ভিডিও ধারণ করেন তিনজন
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সনাতন ধর্মাবলম্বী ওই নারী প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে বাবার বাড়ির পাশে পূজা হচ্ছিল। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়েছিলেন। এসময় তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এসময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান।
একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই নারীকে হেনস্তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৭ জুন) মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এরপর অভিযানে নেমে রাজধানীসহ জেলার স্থান থেকে প্রধান অভিযুক্তসহ ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে রোববার (২৯ জুন) বিকেলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী সুমন ও তার তিন সহযোগীসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মুরানগর থানায় পৃথক একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী।
ওইদিন সন্ধ্যায় তাদের কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মোমিনুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/এমএস
সর্বশেষ - দেশজুড়ে
- ১ স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ
- ২ মৃতের বাড়ি থেকে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ
- ৩ গাজীপুরে ভাড়া ফ্ল্যাটের দরোজা ভেঙে প্রধান শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার
- ৪ নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন, ইউনূসের হাত রক্তে রঞ্জিত
- ৫ ঠাকুরগাঁওয়ে সারের ডিলারশিপ বাঁচাতে পদ ছাড়লেন ইউপি চেয়ারম্যান