সিরাজগঞ্জে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সরকারি পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মুকুন্দগাঁতী এলাকার বহুমুখী মহিলা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ১৯৮৯ সাল থেকে পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন বেলকুচি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বেলকুচি পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম গ্রুপের লোকজন দখলে নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। আজ সাইফুল ইসলামের সমর্থক হাফিজুল ইসলাম মাছের খাবার দিতে গিয়ে দেখেন শ্রমিক দলের নেতা আব্দুর রহমান ও তার লোকজন পুকুর থেকে মাছ ধরছে। এতে বাধা দেওয়ায় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে লাঠিসোঁটা ও লোহার রড নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। এতে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়।
এ ঘটনায় বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম, হাফিজুল ও তার ছেলে শৈশব আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং আব্দুর রহমান, আব্দুল্লাহ, আইয়ুব আলী, আরিফ, রানা শেখ, কোহিনুর বেগম ও হাওয়া খাতুন আহত হয়ে সিরাজগঞ্জ শহিদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি রয়েছেন।
আহত হাফিজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘পুকুরে আমরা মাছ চাষ করছি। কিন্তু আব্দুর রহমানের লোকজন প্রায় মাছ চুরি করে। সকালে মাছের খাদ্য দিতে গিয়ে পুকুর পাড়ে চায়না জাল দেখতে পাই। পরে আব্দুর রহমান ও তার লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে মারধর শুরু করে। এতে আমার ছেলেসহ আরও কয়েকজন আহত হন।’
অপরদিকে আহত আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার ছোট ভাতিজা খেলনা বোতল পুকুরে ফেলেছিল। সেটি নিয়ে হাফিজুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে আমার পাঁচ বছর বয়সী ভাতিজাকে মারধর ও গাল মন্দ করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে হাফিজুল ও তার লোকজন আমার পরিবারের ওপর হামলা করেছে।’
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এম এ মালেক/আরএইচ/এমএস