ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশ

আন্দোলনে গিয়ে নিখোঁজ মুন্নার পরিবারের পাশে যুব শক্তির তুহিন

উপজেলা প্রতিনিধি | সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) | প্রকাশিত: ০৯:২৬ এএম, ০৭ আগস্ট ২০২৫

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকায় এক দফা দাবির লংমার্চে অংশ নিতে গিয়ে নিখোঁজ হন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বাসিন্দা রিকশাচালক সাব্বির হোসেন মুন্না (২৪)। সেদিন অন্যদের মতো এই যুবকেরও লক্ষ্য ছিল স্বৈরাচার হাসিনার পতন। তবে স্বৈরাচারের পতন ঘটলেও পরিবারের কাছে ফিরে আসেননি মুন্না। এক বছর অতিবাহিত হলেও সন্তানের সন্ধান না পেয়ে দিশাহারা বাবা-মা।

মুন্নার নিখোঁজের ঘটনায় মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগো নিউজসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নজরে আসায় তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক তুহিন মাহমুদ। আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ হওয়া মুন্নার ছোট বোনের পড়াশোনার দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি।

মুন্নার বাবা শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমার পরিবারের হাল ধরা একমাত্র সন্তান নিখোঁজের পর থেকে খুব কষ্টে জীবন কাটছে। গার্মেন্টসে চাকরি করে সংসার খরচ চালিয়ে মেয়ের পড়াশোনা করাতে ব্যর্থ হয়েছি। মুন্না নিখোঁজের পর আমাদের সঙ্গে তেমন কেউ যোগাযোগ কিংবা খোঁজখবর নিতে আসেনি। তবে আপনি (জাগো নিউজ) সংবাদ প্রকাশ করার পর এনসিপি নেতা তুহিন বাসায় এসেছে।

জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সোনারগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী তুহিন মাহমুদ জাগো নিউজকে জানান, এর আগে আমি এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। আপনার প্রতিবেদনের মাধ্যমে খবরটি জেনে মুন্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। আমি আমার সাধ্যমতো পাশে দাঁড়িয়েছি এবং তার ছোট বোনের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছি। আমি জুলাই ফাউন্ডেশনসহ সব জায়গায় এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।

সাব্বির হোসেন মুন্নার চার সদস্যের পরিবারে বাবা শফিকুল ইসলাম এবং তার উপার্জনে সংসার ও ছোট বোনের মাদরাসায় পড়াশোনার খরচ চলতো। তবে গত বছর লংমার্চের উদ্দেশ্যে গিয়ে নিখোঁজ হন মুন্না। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা ঢাকার প্রায় সব হাসপাতাল ও মর্গে খোঁজাখুঁজি করেও তার হদিস মেলেনি।

মো. আকাশ/এফএ/এএসএম