ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চৌগাছা পশু হাটের ইজারা নিয়ে নয়-ছয়

জেলা প্রতিনিধি | যশোর | প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৫

যশোরের চৌগাছা পশুর হাটের ইজারা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আতিউর রহমান লাল সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েও ইজারা পাননি। বরং ইজারা দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা শহিদুল ইসলামকে। এতে রাষ্ট্র রাজস্ব বঞ্চিত হবে ৭১ লাখ টাকা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র নূর উদ্দীন আলম মামুন হিমেলের নেতৃত্বে ২০২৪ সালে কৌশলে শহিদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমানের নামে ৮০ লাখ ১৫ হাজার টাকায় হাটের ইজারা দেওয়া হয়। আর সেই পশু হাট থেকে এখনও পৌরসভা ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫০ টাকা পাবে। আবারো সেই চক্রকে চৌগাছা পশু হাট ইজারা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এতে পৌরসভা প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

তারা আরও বলছেন, আতিউর রহমান লাল ২ কোটি ৫১ লাখ টাকা সর্বোচ্চ দরদাতা হন। এ ঘোষণার পর চৌগাছা বাজারসহ মহেশপুর, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ এবং পত্র-পত্রিকায় আতিউর রহমান লাল পশু হাট পেয়েছে বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু পরে জানা যায়, পৌরসভা প্রশাসন ও মূল্যায়ন কমিটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা শহিদুল ইসলামকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার বিনিময়ে হাট ইজারা দিচ্ছে। এতে সরকার ৭১ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে।

আতিউর রহমান লাল বলেন, চৌগাছা পৌর প্রশাসক আমাকে কোনো কারণ জানায়নি। অন্যের মুখে শুনেছি, আমার কাগজপত্রে ঝামেলা আছে নাকি, তাই আমাকে পশু হাট দেওয়া হয়নি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কারণ জানানো হয়নি।

চৌগাছা পশু হাটের ইজারা নিয়ে নয়-ছয়

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টেন্ডার হওয়ার পর থেকে আমি অসুস্থ। ঢাকায় চিকিৎসাধীন। যার কারণে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।

এ বিষয়ে চৌগাছা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহান বলেন, আমি কিছু জানি না। মূল্যায়ন কমিটি ছিল তারা বিষয়টি ভালো বলতে পারবে।

মূল্যায়ন কমিটির সদস্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সর্বোচ্চ দরদাতা আতিউর রহমান লালের টিন সার্টিফিকেট ছিল না। যার কারণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা শহিদুল ইসলামকে হাট প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।

মিলন রহমান/এফএ/জিকেএস