ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

খুলনায় ঝাল কমেছে কাঁচামরিচের

জেলা প্রতিনিধি | খুলনা | প্রকাশিত: ০২:৪৭ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২৫

খুলনার বাজারে ঊর্ধ্বমুখী সব ধরনের সবজি ও মাছের দাম। কয়েক দফায় সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা। বৃষ্টির কারণে বাজারে সরবরাহ কম হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

রোববার (৩১ আগস্ট) খুলনা নগরীর মিস্ত্রিপাড়া, নতুন বাজার, শিরোমণি বাজার, গল্লামারি বাজার, জোড়াকল বাজার, নিউ মার্কেট, খালিশপুর বাজার ঘুরে এমনটা জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির বাজারে পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, ঢেড়শ ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, লাউ ৭০ টাকা, লালশাক কেজি ৪০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৫০-২০০ টাকা কেজি, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা কেজি, আলু ২৫ টাকা, কাঁচকলা ২৫ টাকা হালি, শসা ১০০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৮০-১০০ টাকা এবং রসুন ১৩০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুলনায় ঝাল কমেছে কাঁচামরিচের

মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৪৮ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে, রুই মাছ ৩০০-৩৫০, টেংরা ৫০০-৬০০, পাবদা ৪০০-৫০০, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-১৮০ টাকা, ভেটকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, পাঙাস মাছ ১৩০-১৬০ টাকা, লইট্যা মাছ ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা পাইকারি বাজারের ওপর নির্ভরশীল। আমরা তো সামান্য লাভে সবজি বিক্রি করি। ভোরে দোকান খুলে দুপুর অব্দি বিক্রি করলেও ৫০০ টাকা লাভ করা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতারাও কম পরিমানে সবজি ক্রয় করছেন। এজন্য বাজারে সবজির চাহিদাও কম।

নিউ মার্কেট বাজারের সবজি বিক্রেতা তুহিন শেখ জানান, পাইকারি বাজার থেকে কোন সবজি ৩৫-৪০ টাকার নিচে কিনে আনতে পারছি না। এজন্য ৫০ টাকার নিচে সবজি পাচ্ছে না খদ্দেররা। আমরা ১০ টাকা লাভ না করে সবজি বিক্রি করলে চলবো কী করে?

খুলনায় ঝাল কমেছে কাঁচামরিচের

খালিশপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা আজমল মিয়া জানান জানান, কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। আদার দাম কমেছে। কিন্তু কিছু কিছু সবজির দাম একটু বেড়েছে। মূলত আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে সবজি সংকট চলছে। আর অনেক বেপারি এখন সরাসরি ঢাকায় সবজি সরবরাহ করছেন। যার কারণে ঢাকা ও খুলনার বাজারে প্রায় সমান দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। তবে বৃষ্টি কমলে সবজির দাম অনেক কমে যাবে।

জোড়াকল বাজারের মাছ বিক্রেতা আসলাম মিয়া বলেন, বাগেরহাট আর সাতক্ষীরা অঞ্চলের ঘের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। অনেকের ঘেরের মাছ উৎপাদন নাই, অনেকের ঘের তলিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন কারণে মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে নতুন করে ঘের ধরছেন অনেক মৎস্য চাষি। আশা করা যায় সামনে মাছের দাম অনেকটা কমে যাবে।

জোড়াকল বাজারে আসা জোবায়ের রহমান বলেন, মাছ আর সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়েছেন। ১০০ টাকায় দুই-নি ধরনের সবজি অনায়াসে কেনা যেতো। কিন্তু এখন ১০০ টাকায় দুই পদের সবজি কেনাটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সবজির দাম না কমলে সামনে আমাদের অনেক কষ্ট পোহাতে হবে।

খালিশপুর বাজারে আসা রাতুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের ৬০ টাকার করোলা আজ দেখছি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লাউ ৭০ টাকার নিচে নেই। এছাড়া চিংড়ি, ট্যাংরা, পারসে, পাবদা মাছের দাম অনেক বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, এখনই বাজার নিয়ন্ত্রণ করে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে সবকিছুর দামই হু হু করে বেড়ে যাবে।

আরিফুর রহমান/এমএন/এমএস