মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদীর ছেলেকে কুপিয়ে জখম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় থানা থেকে মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদীর ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরের নাম এলাহী মোল্যা (১৫)। তিনি ওই এলাকার জহিরুল মোল্যার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার বোরহান মিয়া পক্ষের লোকজনের সঙ্গে জহিরুল মোল্যার বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে গত ২৮ আগস্ট বোরহান মিয়ার লোকজন ভ্যানচালক জহিরুল মোল্যার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি। এ ঘটনার তিনদিন পর জহিরুল বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।
বর্তমানে মামলার ২৫ আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় আসেন। এরপর থেকে মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষের লোকজন বিভিন্ন সময় জহিরুলকে হুমকি দেন। কিন্তু জহিরুল মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানান।
- আরও পড়ুন
- নরসিংদীতে আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: যমুনা টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলা
- আজ থেকে আট আইনে সরাসরি মামলা নেবেন না আদালত
- কুমার নদে স্পিডবোটে কিশোর গ্যাংয়ের অস্ত্রের মহড়া
এক পর্যায়ে বুধবার দিবাগত রাতে বোরহান মিয়ার নেতৃত্বে আসামি পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে জহিরুলের বাড়িতে হামলা চালান। এসময় হামলাকারীরা জহিরুলকে বাড়িতে না পেয়ে তার কিশোর ছেলে এলাহী মোল্যাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী জহিরুল মোল্যা বলেন, আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ। তবুও ভ্যান চালিয়ে অনেক কষ্টে সংসার চালাই। গ্রামের কোনো ঝামেলায় থাকি না। সামাজিকভাবে একটি দলের অন্তর্ভুক্ত। এই অপরাধে গ্রামের অপর পক্ষের লোকজন আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তারপর আমি থানায় মামলা করি। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি-ধামকি দেয়। গতকাল আমাকে বাড়িতে না পেয়ে তারা আমার ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এখন আমি প্রাণভয়ে দিন কাটাচ্ছি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এলাহী মোল্যার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বোরহান মিয়ার বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এন কে বি নয়ন/এফএ/জিকেএস