ফরহাদ মজহার
পাকিস্তান আমলে পল্লীগীতি হিসেবে লালনের গান গাওয়া হতো
কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘পাকিস্তান আমলে পল্লিগীতি হিসেবে লালনের গান গাওয়া হতো। লালনের নামও নেওয়া হতো না। স্বাধীনতার পরে এটা লালন সংগীত আকারে গেছে। ফরিদা পারভীন তার গায়কির মধ্যদিয়ে লালনকে পল্লিগীতির স্তর থেকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে এনেছেন একটা ভাবের গান হিসেবে।’
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমারখালীর ছেঁউরিয়া ফকির লালন শাহের আখড়াবাড়িতে ফরিদা পারভীন স্মরণসভার আয়োজন করে লালন একাডেমি।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘লালনের গান যে সাধকদের, বাংলার ভাব চর্চার। বাংলা দর্শন চর্চার একটা দীর্ঘ ধারায় গড়ে উঠেছে। এটার কোনো রকম হদিস আমাদের শিক্ষিত মহলে নেই। আবার যারা লালনের গান চর্চা করে তাদের মাঝেও নাই। ফরিদা পারভীন তার গায়কির বিশেষ ভঙ্গির মাধ্যমে প্রথম আমাদের বুঝিয়েছেন লালন একটা নিছক সংগীত নয়। এটা একটা ভাব সংগীত।’

লালন শিল্পী ও ভক্তদের তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ লালনের গানের সঙ্গে নাচ করেন। এটা কিন্তু লালনের ভাবের সঙ্গে যায় না। এটা ক্ষতিকর। সুতরাং এটাও চর্চার বিষয়।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম মিকাইল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মিজানুর রহমান।
লালনকন্যা খ্যাত দেশবরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। পরদিন এশার নামাজ শেষে কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় পৌর গোরস্তানে মা-বাবার কবরে তাকে দাফন করা হয়।
আল-মামুন সাগর/আরএইচ/জিকেএস