আমরা এখনো সুষ্ঠু বিচার পাইনি: আবরার ফাহাদের বাবা
ছেলের স্মৃতি আঁকড়ে কোনোরকম বেঁচে আছেন বরকত উল্লাহ/ছবি-সংগৃহীত
ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনে নিহত বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমরা এখনো সুষ্ঠু বিচার পাইনি। আপিল বিভাগে এখনো মামলাটি বিচারাধীন। সরকারের কাছে আবেদন, বিচারের কাজটি যেন দ্রুত শেষ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, দেশের সেরা বিদ্যাপীঠে পড়ে সে যে এভাবে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হবে, তা আমরা আশা করিনি।
মঙ্গলবার (৭ আক্টোবর) ছিল আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি ঘিরে ছিল স্মৃতিচারণসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন। ছেলেকে স্মরণ করে কথাগুলো বলেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ।

শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘ছেলেটিকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিষ্ঠুরতম এ অপরাধ করার পরও নিহতের পরিবার এখনো এর সুষ্ঠু বিচার পায়নি। আমরা দ্রুত রায় বাস্তবায়নের দাবি জানাই।’
দিনটি উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরারের কবর জিয়ারত করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। দুপুর ২টায় কেন্দ্রীয় দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক নয়ন আহমেদের নেতৃত্বে দলটির নেতারা কবর জিয়ারতে অংশ নেন। এসময় তারা আবরার ফাহাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এসময় এনসিপির কুষ্টিয়া জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী জান্নাতুল ফেরদৌস টনি, যুগ্ম সমন্বয়কারী কে এম আর শাহীনসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সামনে শহীদ আবরার ফাহাদের হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন করে শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি গ্রন্থাগারের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও ছাত্র-জনতা।

সন্ধ্যা ৭টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ আবরার ফাহাদের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর নির্যাতন করে হত্যা করেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিলেন। হত্যার আগে ৫ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে কিছু ‘অন্যায্য চুক্তির’ বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। ধারণা করা হয়, এসব পোস্টের জের ধরেই তাকে জেরা করা হয় এবং নৃশংসভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।
আল-মামুন সাগর/এসআর/এমএস