মাগুরা
টাটকা শাক-সবজি মেলে ডায়াবেটিস বাজারে
হাটের নাম ‘ডায়াবেটিস বাজার’। ভোরে হাঁটাহাঁটি করা লোকজন এ বাজারের ক্রেতা। ফজরের নামাজের পর থেকে বেচাকেনা শুরু হয়ে চলে সকাল ৮টা পর্যন্ত। এ বাজারে বাহারি শীতকালীন সবজি নিয়ে আসেন চাষিরা।
মাগুরা সদর উপজেলার নতুন বাজার মিল সংলগ্ন এলাকায় এস ব্যতিক্রমী এ বাজার। ভোরে কৃষক তার উৎপাদিত ফসল নিয়ে আসেন। সকালে তাজা সবজি পাওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ডায়াবেটিস বাজার।

মো. আফজাল হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, সকালে নামাজ আদায় করে হাঁটতে বের হয়ে নতুন বাজার আসি। এখানে কৃষক সরাসরি ক্ষেত থেকে সতেজ সবজি নিয়ে আসেন। তরি তরকারি নিয়ে আসে আমি তুলনামূলক অল্প টাকায় বাজার করি আবার হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি চলে যায়।
আল ধানি গ্রামের কৃষক আরজ মল্লিক বলেন, সকালে আমরা প্রতিদিন এ জায়গায় সবজি নিয়ে বসি। ফজরের নামাজের পর থেকে সকাল ৮টার মধ্যে সব সবজি শেষ হয়ে যায়। ডায়াবেটিসের জন্য যারা সকালে হাঁটাহাঁটি করেন তারাই মূলত এ বাজার থেকে কেনাকাটা করেন।

বাজারের সবজি বিক্রেতা শরাফত আলী বলেন, দশ বছর ধরে দেখছি এভাবে চলছে এ সবজির বাজার। এখানে কোনো কমিটি নেই, নেই কোনো সাংগঠনিক কাঠামো। বাজারে আশপাশের কয়েক গ্রাম থেকে কৃষক তার নিজের জমির শাক-পাতা, কলা, ফুল ও ফল নিয়ে আসেন।
নান্দুয়ালি ডিউ স্কুলের প্রধান শিক্ষক এটিএম আনিসুর রহমান বলেন, যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারাই এ বাজারে আসেন। এখানে আসলে সকালের হাঁটাহাঁটি হয়ে যায় সঙ্গে কৃষকের হাত থেকে স্বল্প মূল্যে টাটকা সবজি পেয়ে যায়। যারা সার ওষুধ ছাড়া উৎপাদিত শাক, সবজি কিনতে চান তাদের জন্য এ বাজার। ডায়াবেটিস বাজার দারুণ পরিচিতি লাভ পেয়েছে। নতুন নামটা শুনতেও ভালো লাগে।
মো. মিনারুল ইসলাম জুয়েল/আরএইচ/জিকেএস