ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শিক্ষকদের আন্দোলন

ময়মনসিংহের ৩০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়নি

জেলা প্রতিনিধি | ময়মনসিংহ | প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনের কারণে ময়মনসিংহ জেলার ৩০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অবিভাবকরা। তারা বলছেন, সব পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আন্দোলন করা যেতো।

এ অবস্থায় বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান। সভায় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১৪টি থানা নিয়ে গঠিত ১৩টি উপজেলায় দুই হাজার ১৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক রয়েছেন ১৫ হাজার ৪৯ জন এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাত লাখ ৮৩ হাজার। আন্দোলনের কারণে আজ ৩০০টি বিদ্যালয়ে কোনো পরীক্ষা হয়নি। তবে এক হাজার ৮৪০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক একাই পরীক্ষা নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে তিন দফা দাবি আদায়ে সারাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ। তিন দফা দাবি হলো সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতার অবসান এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।

ময়মনসিংহের ৩০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়নি

নগরীর সেহড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নূরজাহান নামের এক নারীর সন্তান পড়ালেখা করে। তিনি বলেন, ‌‘এভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি করা ঠিক হয়নি। পরীক্ষা শেষ করে আন্দোলন করা যেতো। এভাবে আন্দোলন চলমান থাকলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করতে আগ্রহ হারাবে।’

সহকারী শিক্ষক সাফরিয়া সুলতানা বলেন, ‘শিক্ষকরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। বাধ্য হয়ে তারা পরীক্ষা নেননি। আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহকারী শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবেন।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, জেলার ৩০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়নি। তবে এক হাজার ৮৪০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক একাই পরীক্ষা নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষক নেতাদের আলোচনা হয়েছে। ফলপ্রসূ আলোচনায় আগামীকাল থেকে জেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর/এমএস