ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হবিগঞ্জে শুক্রবারেও নেওয়া হলো মাধ্যমিকের পরীক্ষা

জেলা প্রতিনিধি | হবিগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৯:০২ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা নিয়েছে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রুটিন সংশোধন করে এ পরীক্ষা নেয় প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদা নাজমীন।

এদিকে শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে পিছিয়ে পড়া পরীক্ষা শেষ করতে রুটিন সংশোধন করে শুক্র ও শনিবারও পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণার পর থেকেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

ফরিদা নাজমীন জানান, শিক্ষকরা আন্দোলনে থাকার কারণে ৩টি পরীক্ষা নিতে পারেননি। আবার বার্ষিক পরীক্ষার শিডিউল অত্যন্ত টাইট থাকে। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার পর ঘুরতে যাওয়ার নানা পরিকল্পনা করে রাখেন। বছরের বিভিন্ন সময় বন্ধ থাকলেও আসলে শিক্ষার্থীদেরর ঘুরা সম্ভব হয় না। রেজাল্টের আগে আবার তাদের ফিরতেও হবে।

তিনি জানান, সামনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস। তখন কোনোভাবেই পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। এর আগেই পরীক্ষা শেষ করতে হবে। এ মাসের মধ্যে খাতা দেখা শেষ করে ৩১ ডিসেম্বর অবশ্যই ফলাফলও দিতে হবে। সবদিক চিন্তা করে বাধ্য হয়েই বন্ধের দিন পরীক্ষাটা নিতে হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্কুলে এভাবে পরিকল্পনা করে বন্ধের দিন পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। ঢাকারও একাধিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি।

পরীক্ষার সময় আন্দোলন কি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জিম্মি করে তাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই শিক্ষা অফিসার বলেন, আসলে বিষয়টি এমন নয়। শিক্ষকরাও একটি সমিতির অধীনে আছেন। সমিতির সিদ্ধান্ত তাদের মানতে হয়। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে তারা ২ দিন পরই আন্দোলন থেকে সরে এসেছেন। আর একদিন সময় নিতে হয়েছে। কারণ একদিন সময় না দিয়ে হুট করে বলেই তো পরীক্ষা নেওয়া যায় না। শিক্ষার্থীদেরও একটা প্রস্তুতির বিষয় আছে।

অভিভাবক মোক্তাদির ইবনে সালাম বলেন, ১ ডিসেম্বরের পরীক্ষার আগের রাতে হঠাৎ করেই ঘোষণা আসলো অনিবার্য কারণবশত পরীক্ষা স্থগিত। ২ তারিখের পরীক্ষাও আগের রাতে শিক্ষকরা স্থগিত করে দিলেন। তাদের নাকি আন্দোলন চলছে। বৃহস্পতিবার আবার ঘোষণা করলেন, আগামী ৪ দিন ৪টা পরীক্ষা হবে। শুক্রবার ও শনিবারেও পরীক্ষা হবে। কথা হলো, আপনাদের আন্দোলনের বলি পাঠা কেন ছাত্ররা হবে? কেন পূর্ব নির্ধারিত তারিখেই পরীক্ষা শেষ করতে হবে? চাইলেই তো দুইদিন পর পরীক্ষা শেষ করতে পারতেন।


সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/কেএইচকে