ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, ১১ ডিগ্রিতে নামলো তাপমাত্রা

জেলা প্রতিনিধি | চুয়াডাঙ্গা | প্রকাশিত: ১১:০২ এএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

গত কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে গেছে। হিমেল বাতাস, কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় সাধারণ মানুষের জীবন এখন অনেকটাই জবুথবু। বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশাচালক ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মৌসুমের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিনের মধ্যেই জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এদিকে শীতের তীব্রতা যেমন বাড়ছে, তেমনি থেমে নেই পরিশ্রমী মানুষের কাজ। ভোরের ঠান্ডা বাতাস উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে কাজে ছুটছেন শ্রমিকরা।

চুয়াডাঙ্গা শহরে কাজ করতে আসা কাঠমিস্ত্রি শাহিন আলী বলেন, ভোর ছয়টার পর থেকেই কাজে বের হয়েছি। কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে শরীর কাঁপছে। কিন্তু উপায় নেই- একদিন কাজ না করলে সংসার চলবে না।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছির রিকশাচালক মাসুম মিয়া জানান, রাতে রিকশা চালাই, দিনে বিশ্রাম করি। গত কয়েকদিন ধরে শীত অনেক বেড়েছে। ভোরের দিকে বাতাসে হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছিল। এভাবে চললে রাতে রিকশা চালানো মুশকিল হয়ে যাবে।

jagonews24

এছাড়া শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, শীতজনিত কারণে ডায়রিয়া ও শিশু রোগীদের চাপ বেড়েছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর-ঠান্ডা ও ডায়রিয়া রোগী বেশি। তবে তুলনামূলকভাবে বয়োবৃদ্ধ রোগী কম আসছেন। প্রতিদিন আউটডোরে শীতজনিত কারণে ২০০–৩০০ শিশু ও বৃদ্ধ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান বলেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এ মাসেই শৈত্যপ্রবাহেরও সম্ভাবনা রয়েছে।

হুসাইন মালিক/কেএইচকে