দুর্নীতির অভিযোগে বদলি, রিলিজের পরও অফিস করছেন সমবায় কর্মকর্তা
দুর্নীতির অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বদলির আদেশ হয় চুয়াডাঙ্গা জেলার ভারপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তা কাজী বাবুল হোসেনের। তবে বদলির আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি। এমনকি বিভাগীয় কার্যালয় থেকে রিলিজ পাওয়ার পরও তিনি বহাল তবিয়তে চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ে অফিস করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলা সমবায় কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে যোগদান করেন কাজী বাবুল হোসেন। চাকরিকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ে অধিদপ্তরে। তদন্ত শেষে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক (প্রশাসন, মাসউ ও ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ হাফিজুল হায়দার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেলা সমবায় কার্যালয়ে উপসহকারী নিবন্ধক হিসেবে বদলি করা হয়। এরপর গত ৩০ নভেম্বর বিভাগীয় কার্যালয় থেকে কাজী বাবুল হোসেনকে রিলিজও দেওয়া হয়। তবুও নিয়মিতভাবে চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ে অফিস করছেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সমবায় কর্মকর্তা হিসেবে বদলির আদেশপ্রাপ্ত হন কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী নিবন্ধক আনিছুর রহমান। অথচ তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন কাজী বাবুল হোসেন। অজানা কারণে কাজী বাবুল এখনো রয়েছেন বহাল তবিয়তে। নিজেই সই স্বাক্ষর করছেন দাপ্তরিক বিভিন্ন হিসাবের খাতে।
এ ব্যাপারে কাজী বাবুল হোসেন বলেন, আমার বদলি আদেশ স্থগিত হতে পারে বলে শুনেছি। এজন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে থাকতে হতে পারে। তাই নতুন কর্মস্থলে যোগদান করিনি।
সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী কারণে তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করেননি সেটিও জানতে চাওয়া হবে।
হুসাইন মালিক/কেএইচকে/এমএস