ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মাগুরায় আড়বাঁধসহ চায়না জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

জেলা প্রতিনিধি | মাগুরা | প্রকাশিত: ০৯:২২ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

মাগুরার শালিখা উপজেলার চিত্রা নদী থেকে আড়বাঁধ, চায়না দুয়ারি জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে শতখালী ইউনিয়নের চিত্রা নদী থেকে এসব জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।

জানা গেছে, শালিখা উপজেলার চিত্রা নদীর হরিশপুর এলাকায় অবৈধ আড়বাঁধ ও চায়না দুয়ারি দিয়ে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে অবাধে দেশি জাতীয় মাছ শিকার করছিলেন এলাকার নিরঞ্জন কুমার দাসের ছেলে সঞ্জয় কুমার দাস ৷

পরে অভিযান চালিয়ে তিনটি আড়বাঁধ, নদী থেকে ২৭ পিস চায়না দুয়ারি জব্দ করে মোবাইল কোর্ট। এরপর সেগুলো উপজেলা সদর আড়পাড়া সরকারি আইডিয়াল হাই স্কুল মাঠে এনে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এর আগে এ বিষয়ে একাধিক পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন৷ এরপর শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বনি আমিনের নির্দেশে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আক্তার উপজেলা প্রশাসনসহ শালিখা প্রেস ক্লাবে এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম মোল্লা বলেন, চিত্রা ও ফটকী নদীসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বাঁশ, কাঠ ও চান দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে দেশি জাতীয় মাছ শিকার করছেন প্রভাবশালীরা৷ কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন অবস্থা চললেও কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না৷

এলাকাবাসী জানান, তারা ক্ষ্যাপলা জাল বা বরশি দিয়ে মাছ ধরতে গেলে তাদের মারধর করে ভয় দেখানো হয়। নদী ও খালে আড়বাঁধ দেওয়ায় নদীর স্বাভাবিকভাবে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বাঁধের পাশে নদীর পাড়ে খুপরি ঘর বানিয়েছে প্রভাবশালীরা। এছাড়া নদীর বেশ কয়েকটি জায়গায় নেট দেওয়ায় পানিপ্রবাহ আটকে গেছে ৷

এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি, উপজেলার চিত্রা, ফটকী, কানুরখাল এবং ধনেশ্বরগাতী, বিল, বুরোল বীল, হাবুড়ের খাল ও বরইচার খাল, ছান্দড়ার খালসহ বিভিন্ন খাল বিল থেকে আড়বাঁধ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখবেন প্রশাসন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আক্তার বলেন, নদী থেকে অবৈধ আড়বাঁধ ও চায়না জাল উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের প্রয়াস সর্বাত্মক।

মো. মিনারুল ইসলাম জুয়েল/এনএইচআর