বাউফলে বিএনপির মনোনয়ন বাতিল দাবিতে একাংশের মশাল মিছিল
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. সহিদুল আলম তালুকদারের মনোনয়ন বাতিল দাবিতে দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৭টার দিকে মশাল মিছিল পৌর শহরের পাবলিক মাঠসংলগ্ন উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে এ মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পশু হাসপাতাল রোড, বাজার রোড, কুন্ডপট্টি রোড ও হাইস্কুল রোড প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে উপজেলা, পৌর ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। এসময় তারা মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে নানা স্লোগান দেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ৪ ডিসেম্বর বিএনপি ঘোষিত তালিকায় পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য সহিদুল আলম তালুকদারকে দলীয় প্রার্থী করা হয়। তবে মনোনয়ন না পাওয়া অপর দুই নেতা মুনির হোসেন ও একেএম ফারুক আহমেদের অনুসারীরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভে নেমে আসেন।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (৭ ডিসেম্বর) উপজেলা বিএনপি জরুরি সভা ডেকে মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান ও পুনঃবিবেচনার দাবি জানায়। পরে ওই দিন বিক্ষোভ মিছিলও হয়। পরদিন সোমবার সকালেও বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মশাল মিছিল।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুনির হোসেনের অনুসারী আ. জব্বার মৃধা বলেন, ‘যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি অতীতে ধানের শীষের বিপক্ষে কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগ নেতার হয়ে মাঠে ছিলেন। গত ১৬ বছর দলের আন্দোলন-সংগ্রামে তাকে দেখা যায়নি। তৃণমূল তাকে মেনে নেবে না। আমরা এ মনোনয়ন বাতিল চাই।’
পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ফারুক আহমেদের অনুসারী মাসুম বিল্লাহ পলাশ বলেন, ‘যার সঙ্গে দলের সম্পৃক্ততা নেই, তাকে দিয়ে এ আসনে জয় সম্ভব নয়। তিনি শারীরিকভাবে ফিট নন।’
মনোনয়ন পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন শহিদুল আলম তালুকদার। এর আগের দিন মঙ্গলবার রাতেই ওই দোয়া অনুষ্ঠানের মঞ্চে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়।
এ প্রসঙ্গে শহিদুল আলম তালুকদারের অনুসারী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তসলিম তালুকদার বলেন, ‘শহিদুল আলম তালুকদার একজন জনপ্রিয় নেতা। তিনি ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে জয় পান। এবারও তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।’
মাহমুদ হাসান রায়হান/এসআর