‘প্রত্যেক আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেডি, শুধু ঘোষণা বাকি’
রংপুরের প্রত্যেকটা আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু নাসের মো. শাহ মাহবুবার রহমানের মোটরসাইকেল শোডাউনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মোস্তফা বলেন, রংপুরের ডিসিশন হচ্ছে, প্রত্যেকটা আসনে আমাদের প্রার্থী প্রস্তুত করা আছে, শুধু ঘোষণার বাকি। যারা আজকের এই শোডাউনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বাড়িতে যারা হাজার হাজার মানুষ আছেন, তাদের কাছে অলরেডি মেসেজ চলে যাবে যে, জাতীয় পার্টি এই নির্বাচনে আছে এবং লাঙল নিয়ে তারা ভোট করবে।
মোস্তফা আরও বলেন, এই বাতাসটা যখন ধীরে ধীরে বইতে থাকবে, আমরা মনে করি খুব ত্বরিত বেগে আমাদের সাড়া এই আসনে ছড়িয়ে পড়বে। বাকী প্রার্থীদের নাম দ্রুতই ঘোষণা হয়ে যাবে। আমরা তাদেরকে মাঠে নামিয়েও দিবো ইনশাআল্লাহ।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে করে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, আপনারা এগিয়ে যান, ঘরে বসে থাকার সময় নাই। প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমরা কাজে লাগাতে চাই এবং এই নির্বাচনি বৈতরণী লাঙল মার্কাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে চাই, এটাই প্রত্যাশা।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোস্তফা বলেন, একটা দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন আপনি উপহার দিতে চান। আমরা যেন বাস্তবের সঙ্গে তার মিল দেখতে পারি। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করবো, কোনো জায়গায় প্রার্থীরা যেন কোনো আঘাতপ্রাপ্ত না হয়। কোনো ধরনের নির্বাচনি আচরণবিধি যেন লঙ্ঘিত না হয়, সে ব্যাপারে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখবেন। এটা আমরা প্রত্যাশা করবো।
দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের উদাহরণ টেনে রংপুর সিটির সাবেক এই মেয়র বলেন, বাংলাদেশে ১২টা সিটি কর্পোরেশন। তার মধ্যে ৯টা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পলাতক। দুইটা সিটির মেয়র আছেন জেলে। আর একমাত্র রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা চাই, আমাদের প্রত্যেকটা প্রার্থী এইভাবে যেন থাকতে পারেন। যারা সর্বজন গ্রহণযোগ্য মানুষ, তাদেরকে আমরা মনোনয়ন দিয়েছি এবং সেই প্রার্থী আপনাদের কাছে থাকবে। আগামী দিনেও এই রংপুর-৪ আসনের উন্নয়ন যেন ত্বরান্বিত হয়।
এর আগে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাটি কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে মীরবাগ ডিগ্রি কলেজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
জিতু কবীর/কেএইচকে